বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
The Safest Online Casino: Your Overview to a Secure and Satisfying Gaming Experience ঝিনাইদহে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির দাবীতে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের চল্লিশতম বার্ষিক অধিবেশনে ধর্মনিরপেক্ষ,বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস চর্চার আহ্বান ও নতুন সমিতি গঠিত কয়রায় সমম্ময়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি থানায় অভিযোগ নির্বাচন বিলম্ব হলে ড. ইউনূসের মর্যাদা কলঙ্কিত হতে পারে: ফারুক বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলো সরকারে বসে রাজনৈতিক দল গঠন ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য ভালো নয়: মান্না লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী লীগের দখলে শৈলকুপায় পাকিস্তানি হাই কমিশনার হরিণাকুণ্ডুতে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হলো মুজিব ভাস্কর্য
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

শৈলকুপার হাট বাজারে পাটের দাম কম, কৃষকরা দিশেহারা

রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
Update : বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩, ১:০৫ অপরাহ্ন

রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কাটা-ধোয়ার পর শুকনা পাট বাজারে পুরোদমে তুলতে শুরু করেছেন ঝিনাইদহের শৈলকূপার কৃষকরা। এবারে পাট পচানো ও ধোয়ার কাজে বেগ পেতে হয়েছে কৃষকদের। বেড়েছে খরচ। আবার পানিস্বল্পতায় ঠিকমতো জাগ দিতে না পারায় পাটের আঁশ কালচে হয়েছে। অনেক চাষিকে পাট জাগ দেওয়ার জন্য ১ থেকে ২ কিমি দূরে যেতে হয়েছে। এতকিছুর পরও বাজারে তুললে মিলছে না প্রত্যাশিত দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন পাটচাষিরা।

শৈলকুপার পাটের বাজারগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। নতুন বাজারে সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক পাটের হাট বসে। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বসে পাটের বাজার। এসব বাজারে যানবাহনের ওপর থেকে দরদাম করে কেনাবেচা চলছে।
মৌসুমের শুরুতে পাটের বাজার ৩ হাজার টাকা মণ হলেও বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ২ হাজার ২শ টাকায়। অবশ্য কালচে নিম্নমানের পাট হলে ১৫শ থেকে ১৭শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মধ্যম মানের পাট ১৯শ টাকা দরে; আবার পাটের রঙ উন্নত মানের হলে মণপ্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। গড় হিসাবে মণপ্রতি পাট ১৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা এখান থেকে ট্রাক ভরে পাট নিয়ে যাচ্ছেন। খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, ঢাকাসহ দেশের িিভন্ন জেলায় যায় এ অঞ্চলের পাট।

ছোট মৌকুড়ি গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, তার ১ বিঘা জমিতে পাট ছিল। তিনি বলেন, ‘আমার জমিতে আনুমানিক ১ হাজার হাতা পাট হয়েছে, পাট কাটতে নিয়েছে ৪ টাকা হাতা করে ৪ হাজার টাকা, টানতে নিয়েছে ৪ টাকা হাতা করে ৪ হাজার টাকা, ধুতে নিয়েছে ৫ টাকা হাতা করে ৫ হাজার টাকা আর বাজারে আনতে নিয়েছে ৭শ টাকা। মোট খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ৭শ টাকা। বিক্রি করেছি ২ হাজার টাকা দরে ২০ হাজার টাকা। আশা ছিল আরও ভালো দাম পাব, কিন্তু পেলাম না।

কিত্তিনগর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানায়, এবার ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর ও ডোবায় সেচ দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। বাজারে বর্তমান পাটের যে দাম, তাতে খরচ বাদ দিলে কিছুই থাকছে না। ভেবেছিলাম পাটের দাম ভালো পাব, কিন্তু আশানারূপ দাম না পাওয়ায় আমরা হতাশ।

পাট ব্যবসায়ী উজ্জ্বল আলী বলেন, ‘বাজারে সোনালি পাটের চাহিদা বেশি। তবে পানির অভাবে কৃষকরা ঠিকমতো জাগ দিতে না পারায় বাজারে কালচে পাট বেশি দেখা যাচ্ছে। আগের বছরের তুলনায় এবার পাটের মান তুলনামূলক খারাপ। এখানে পাটের আমদানি বেশি হওয়ায় প্রতিবছর শৈলকুপা বাজার থেকে পাট কিনি।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল হাসনাত জানান, এবার উপজেলায় ৮ হাজার ৩শ ৯৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। পাট উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ২২০ মেট্রিক টনের মতো। অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন মোটামুটি ভালো হলেও এ বছর পাটের দাম কিছুটা কম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host