রকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে পরকিয়ায় প্রেমে পড়ে স্বামী আব্দুল জলিলকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বউ মমিনা বেগম (২৭) ও পরক্রিয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানীর (২৮) বিরুদ্ধে।
মমিনা বেগম লালমনিরহাটের সাপটানা মাজাপাড়া এলাকার মোল্লার মেয়ে ও পরক্রিয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানী একই এলাকার রমজান আলীর ছেলে।
এমনি একটি অভিযোগ ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করেছেন, খুনিয়াগাছ এলাকার শাহার আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্যক্তি খুনিয়াগাছ এলাকার শাহার আলীর ছেলে আব্দুল জলিল প্রায় ৮ বছর আগে সাপটানা মাজাপাড়া এলাকায় বউসহ বসবাস করে আসছেন।
তিন পুকুর বাজারে পরক্রিয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানীর ঔষধের দোকান হওয়া মমিনা বেগম প্রায়ই তার ঔষধের দোকানে ঔষুধ আনতে যেত। ফলে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে বাধ সাধে স্বামী আব্দুল জলিল। তাই মমিনা বেগম ভাই আশরাফুল ইসলামের সহযোগীতায় পরক্রিয়া প্রেমিক গ্রাম্য ডাক্তার গোলাম রব্বানীকে সাথে নিয়ে ঈদুল আযহার পরের দিন ২২ জুলাই রাত ১২ থেকে ২ টার মধ্যে মৃত আব্দুল জলিলকে আগে থেকে আনা ঘুমের ঔষধ দিয়ে অচেতন করে মারধর করলে তার মৃত্যু হয়।
পরের দিন সকালে মৃত আব্দুল জলিলকে গোসল করায়ে তার আত্মীয় স্বজনকে খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই আব্দুল জলিলের ভাই কয়েক জনকে সাথে নিয়ে সাপটানা মাজাপাড়া এলাকায় সকাল ১০ টার মধ্যে গিয়ে দেখতে পান তার ভাইয়ের নাক ও গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়ছে।
আসামিগন তাদের জানায় স্ট্রোক করে আপনার ভায়ের মৃত্যু হয়েছে। লাশ তারাতারি দাফন করতে হবে। সেই জন্য ঔ এলাকার কয়েক জনকে ডেকে এনে তরিঘরি করে লাশ দাফন করে।
লাশ দাফনের পড়ে মৃত আব্দুল জলিলের শোশুর বাড়ীতে সবাই মিলিত হলে মৃত আব্দুল জলিলের ভাই আব্দুর রশিদ তার ভাবি মমিনা বেগমকে নিজের বাড়ী খুনিয়াগাছ নিয়ে যেতে চাইলে,মমিনা বেগম জানায় আমি গোলাম রব্বানীকে বিয়ে করব।আমি কোথাও যাব না। এতে সন্দেহ হলে শাহার আলী বাদি হয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিন তদন্তে সাপটানা মাজাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মমিনা বেগম ও গোলাম রব্বানীর পরক্রিয়া প্রেমের কাহিনী এলাকাতে টক অবদা টাউনে পরিনত হয়েছে।আব্দুল জলিলের অকাল মৃত্যু কেও মেনে নিতে পারছে না।
সাপটানা এলাকার কাউন্সিল আওয়াল সাংবাদিকদের জানান, আমি ২২ তারিখ সকালে মেয়ের কাছে জলিলের মৃত্যুর খবর শুনে জলিলের বাড়ীর দিকে গিয়ে কোন সারা শব্দ না পেয়ে আবার বাড়ীতে চলে আসি। বউকে বলি কখন জানাযা হবে আমাকে বলিও এই কথা বলে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল ১০ টার দিকে আমাকে বউ ডাক দেয় কখন যাবেন এখনিতো জানাযা হবে। আমি তারাতারি উঠে রেডি হয়ে জানাযা দিতে যাই। এলাকার কাউন্সিলর হওয়া আমাকে যেতে হয়।
পরক্রিয়ার বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। সত্য মিথ্যা আল্লাহ ভাল জানেন।
পরক্রিয়া প্রেমিক গ্রাম্য ডাক্তার গোলাম রব্বানীকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,দেখেন আমি ডাক্তার সেবা করাই আমার কাজ। তবে পরক্রিয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
মৃত আব্দুল জলিলের ভাই আব্দুর রশিদ বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এসপি মহাদয়ের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি তদন্ত করে সঠিক বিচার করে দেবেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।