মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

রাজশাহীর ডিআইজি আনিসসহ ৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা

এন এস বি ডেস্ক:
Update : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৭:০৭ পূর্বাহ্ন

এনএসবি ডেস্ক: রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি আনিসুর রহমানসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের আবু সাঈদ নামে এক যুবককে আটকের পর ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।রোববার (১৮ আগস্ট) আবু সাঈদের স্ত্রী পারভীন খাতুন বাদী হয়ে মণিরামপুর আমলি আদালতে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে আদেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী শহীদ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন: যশোরের মণিরামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্যা খবির আহমেদ, এসআই তাসমীম আহমেদ, এসআই শাহীন, দুর্গাপুর গ্রামের মৃত দুর্গাপদ সিংহের ছেলে সুব্রত সিংহ, জিনার আলীর ছেলে মতিউর রহমান, জয়পুর গ্রামের মৃত নওশের আলী মেম্বারের ছেলে মোন্তাজ আলী, খোর্দগাংড়া গ্রামের মৃতা আব্দুল মান্নানের ছেলে ফিরোজ আহমেদ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর উপজেলার জয়পুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক বজলুর রহমানের দোকান থেকে আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাকে মারধর করে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাকে একটি পেন্ডিং মামলায় আটক দেখানো হয় এবং ওসি আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। মমতাজ আলী তখন মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি জানান, আবু সাঈদ বিএনপি করে এবং সে ক্রসফায়ারের এক নম্বর লিস্টে আছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ওইদিন রাতে আবু সাঈদকে থানা অভ্যন্তরে মারধর করা হয়। এরপর গভীর রাতে তাকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেগারিতলা নামক স্থানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে পরিবারকে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। এরপর আসামিদের যোগসাজসে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করে মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অভিযোগে মামলার বাদী দাবি করেছেন, পুলিশ হেফাজতে আবু সাইদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন। প্রসঙ্গত, আনিসুর রহমান ২০১৪ সালের ২৪ শে মার্চ যশোরের পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এবং ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host