যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে দেশটির ঋণগ্রহণ সীমা বৃদ্ধির বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হওয়ায় ঋণখেলাপি থেকে রেহাই পেলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার।স্থানীয় সময় শনিবার মার্কিন সিনেটে পাস হওয়া জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিলে স্বাক্ষরের পর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীদল রিপাবলিকান নেতা স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থি, রিপাবলিকান সিনেট নেতা মিচ ম্যাকনেল, সরকারি দল ডেমোক্র্যোটিকের শীর্ষ সিনেটর চাক শুমার এবং কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিসসহ উভয় কংগ্রেসের সরকারি ও বিরোধীদলের নেতাদের ধন্যবাদ জানান হয়।
এর আগে বাইডেন জানান, জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারা মার্কিনিদের জন্য ভালো খবর।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। বিলটির পক্ষে ৬৩টি ভোট পড়ে, বিপক্ষে ৩৬টি। সিনেটে পাসের বিলটি আইনে পরিণত করতে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো প্রেসিডেন্টের কাছে।
আগের দিন বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর বিল পাস হয়। বিলটির পক্ষে ৩১৪ ভোট পড়ে আর বিপক্ষে ১১৭ ভোট।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ঋণসীমা দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত ঋণসীমা স্থগিত করার কারণে দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না।
এদিকে ঋণসীমা বাড়ানো বা স্থগিত নিয়ে গেলো সপ্তাহে হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।
তিনি জানান, যদি ৫ জুনের মধ্যে এ নিয়ে একটি সমাধানে না পৌঁছানো যায় তাহলে খেলাপি হয়ে যাবে সরকার। পাশাপাশি আটকে যাবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, পেনসনসহ সব কিছু। এমনকি দেউলিয়াও হতে পারে দেশটি।
এর পরই জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দেশটির সরকারি ও বিরোধী উভয়দল কয়েক দফা বৈঠক কর। আল্টিমেটাম দেয়া ৫ জুনের আগেই সমঝোতা করতে সক্ষম হয় তারা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সিনেট নিয়ন্ত্রণে সরকারি দল ডেমোক্র্যাটিকদের আর নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ রয়েছে বিরোধীদল রিপাবলিকানদের দখলে। ফলে রিপাবলিকানরা বাইডেনের চাহিদা অনুযায়ী ঋণসীমা বৃদ্ধির অনুমোদন দিতে চায়নি। আর এ কারণে রিপাবলিকানদের সঙ্গে বাইডেনকে করতে হয় সমঝোতা। আর এতে সরকারি ব্যয়ে কিছুটা কাটছাট করতে বাধ্য করেছেন রিপাবলিকানরা।