শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কারকারিদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,গুলি বর্ষণ, পুলিশসহ আহত-৪০, আটক-২ সারা দেশে নিহতের সংখ্যা ১৩ স্বাচিপ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মামুন, সম্পাদক ডাঃ কাওসার শিবির কর্মী-ছাত্রদল এবং বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে-মোজাম্মেল হক সারা বাংলা র ৮৮ এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন সারা বাংলা’র ৮৮ মাদারীপুর জেলা প্যানেলের উদ্যোগে চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-২০ রংপুরে পুলিশের গুলিতে কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ নিহত চীন-রাশিয়া সামরিক মহড়া ছাত্র নিহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অসত্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মা

Reporter Name
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১, ১:২০ পূর্বাহ্ন

নিউজ ডেস্ক: নিমতলী ট্র্যাজেডির সর্বনাশা আগুনে সব হারানো তিন কন্যাকে নিজের মেয়ে করে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১০ সালের ৩রা জুন নিমতলী ট্র্যাজেডিতে স্বজনহারা আসমা আক্তার, সকিনা আক্তার রত্না ও উম্মে ফারেয়া রুনাকে নিজ কন্যার পরিচয়ে গণভবনে বিয়েও দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই থেকে প্রধানমন্ত্রী তাদের মা। নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন তিনি। সর্বশেষ মিরপুরে ১৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট উপহার দিয়ে তিন মেয়েকে চমকে দেন শেখ হাসিনা। তিন কন্যার কাছে এ উপহার ছিল অবিশ্বাস্য। দুই ঈদে তিন মেয়ে, মেয়ের জামাই, নাতি-নাতনিদের জন্য নতুন পোশাক, পহেলা বৈশাখে নতুন কাপড়, আম কাঁঠালের সময় নানা রকম মৌসুমী ফল, শীতের সময় শীতের পোশাক এসব তিন মেয়ের বাড়িতে নিয়মিত পাঠান। সন্তানের মতোই নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ২৭ রমজান মেয়েদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অভিভাবকত্ব পেয়ে খুশি এই তিন কন্যা।

আসমা আক্তার বলেন, নিমতলীর ঘটনায় আমি আমার মাকে হারিয়েছি। এ ক্ষতি হয়তো কোনো দিন পূরণ হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মাতৃ স্নেহে আমাদের মায়ের অভাব অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমাদের সন্তানরাও নানুর আদর পেয়েছে। এত স্বজন হারানোর কষ্ট নিয়ে আমার যেদিন বিয়ে হয় সেদিন আমি বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে? আস্তে আস্তে যখন স্বাভাবিক হতে থাকি তখন দেখি জীবনটা অনেক পাল্টে গেছে। যে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখবো এটা কোনো দিন চিন্তা করিনি, তাকে আজ আমি আম্মু বলে ডাকি। নিমতলী ট্র্যাজেডির এত বছর হয়ে গেছে তারপরও আম্মু আমাদের সবসময় খোঁজখবর নেন। আমার তিন ছেলে। আম্মু আমার বড় ছেলের নাম রেখেছেন রমাদান। বিয়ের সময় আম্মু আমার স্বামীকে সেনাবাহিনীতে কাজ দেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ছিলাম। কোনো দিন নিজের বাসা হবে এ যেন ছিল কল্পনা। একদিন জানানো হলো প্রধানমন্ত্রী আমাদের ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন। আমি যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এটা ছিল আম্মুর সারপ্রাইজ গিফট। ১৫০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট, লিফট, গ্যারেজসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে। সামনে বাচ্চাদের খেলার মাঠ। এমন বাসায় আগে আর কখনো থাকিনি। এখন স্বামী সন্তানসহ মিরপুর ১৩ নম্বরে আম্মুর দেয়া ফ্ল্যাটেই থাকি আমি। করোনার পর থেকে আম্মুর সঙ্গে সরাসরি আর দেখা হয়নি। কিন্তু ভিডিও কলে কথা হয়েছে। আম্মু আমাদের সব দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আরেক কন্যা রত্না বলেন, এগার বছর আগে এই দিনে নিমতলীতে আমাদের বাড়িতে চলছিল বিয়ের উৎসব। মুহূর্তেই বিয়ে বাড়ি পরিণত হয় পোড়া বাড়িতে। মা, খালা চাচাতো, খালাতো ভাই-বোনসহ আরো অনেকে মারা যায় এ ঘটনায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী (আমাদের আম্মু) গণভবনে আমাদের বিয়ের আয়োজন করেন। তখন আমাদের কোনো হুঁশ ছিল না। এত আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকা খুব কষ্ট। এত কষ্টের মধ্যে আমাদের বড় সুখ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমার একটা মেয়ে ওর বয়স সাড়ে ৯ বছর। আমার মেয়ে নিজের নানুকে না দেখলেও প্রধানমন্ত্রীকেই নানু বলে জানে। আম্মু আমাদের না চাইতেই অনেক কিছু দিয়েছেন। আমার স্বামীকে বেসিক ব্যাংকে চাকরি দিয়েছেন। আমাদের ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন।

আম্মু আমাদের সবসময় খোঁজখবর রাখেন। উপহার পাঠান। আমরা আম্মুকে পেয়ে মাকে খুঁজে পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর আরেক কন্যা রুনা বলেন, ২০১০ সালে ৩রা জুন এ দিনটি ছিল আমাদের জীবনে দুঃস্বপ্নের দিন। এ ঘটনার পর থেকে একটি ট্রমার মধ্যে ছিলাম আমরা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দায়িত্ব না নিলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কঠিন হয়ে যেতো। বিয়ে দেয়া, আমার স্বামীকে নৌবাহিনীতে চাকরি দেয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করেছেন আম্মু। দুই ঈদে উপহার, পহেলা বৈশাখে উপহার, আম কাঁঠালের সময় নানা রকম ফল, শীতের সময় শীতের পোশাক পাঠানো সব করেন আম্মু। এ বছর করোনার জন্য উপহার না পাঠিয়ে পহেলা বৈশাখ ও রমজানে খরচের জন্য তিনি টাকা পাঠিয়েছেন। আমাদের ভিডিওকলেই ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে আম্মু। ফ্ল্যাট দিয়ে আম্মু আমাদের রীতিমতো চমকে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১৭ জনের মৃত্যু হয়। একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে অগ্নিকাণ্ড হওয়ায় ওই বাসার অনেকে মারা যান। স্বজনহারা হন বর কনে। পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্বজনহারা তিন কন্যার বিয়ের আয়োজন করা হয়। তাদের অভিভাবকের দায়িত্বও নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host