মাদারীপুর থেকে কাওসার আলম মিঠু; মাদারীপুর জেলায় সদর উপজেলার চরমুগুরিয়া বন্দরে অবস্থিত স্কুল শিক্ষিকা ফারহানা আক্তার শাম্মী ন্যায় বিচার ও গ্রেফতার দাবি করে জামাত শিবিরের ক্যাডার স্বামী মোঃ গাউছ-উর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, দিনের পর দিন উক্ত মাদকসেবী ও যৌতুকলোভী স্বামী স্কুল শিক্ষিকা শাম্মী আক্তারকে শারিরিক ভাবে মার-ধোর করলে প্রথমে মাদারীপুর জেলা জজ আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের আওতায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ৪৮৬/২০২০। এ মামলা দায়ের করলে বিএনপি ও জামাত নেতা মোঃ গাউছ-উর রহমান মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে শিক্ষিকা শাম্মী আক্তার ও তার সন্তানদের কে সহ আপন শশুর ও শাশুড়িকেমার-ধোর করে। এ মামলায় বিএনপি ক্যাডার মোঃ গাউছ-উর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন এনে উক্ত পরিবারের সকলকে সহ আপন শশুর ও শ^াশুড়ি কে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। এ অবস্থা থেকে নিরসনের লক্ষ্যে ১০/০৬/২০২১ ইং তারিখে স্কুল শিক্ষিকা তার স্বামীরএবং তার সন্তানেরা নিজ পিতার বিরুদ্ধে এবং আপন শশুর কাজি জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে আপন জামাইয়ের বিরুদ্বে মাদারীপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এর আওতায় ৩৮১৯(২০) নং মামলা দায়ের করেন। সদর থানার এ মামলার আইও এবং ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া ও চৌধুরি রেজাউল করিম ওসি তদন্ত সাথে কথা বলে জানা গেছে এ মামলায় নানাবিধ অপকর্মের নায়ক আসামী মোঃ গাউছ-উর রহমানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টে জারি হয়েছে। ওসির সাথে কথা বললে তিনি জানান, “আসামী গাউছ-উর রহমানকে গ্রেফতার এর ব্যপারে জোর তৎপরতা চলছে।” মামলার বাদি স্কুল শিক্ষিকা ফারহানা আক্তার শাম্মীর পিতা কাজি জাহিদ হোসেন বাদি হয়ে ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশসরকারের সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে। এ ব্যপারে মামলার আসামী মোঃ গাউছ-উর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেন নি। উল্লেখ্য উক্ত স্কুল শিক্ষিকা ফারহানা আক্তার শাম্মী মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকারি কমিটির সদস্য এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।