শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

মাগুরায় এস. ইউ. এস নামে এনজিও গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও

অলোক রায়, স্টাফ রিপোর্টার
Update : বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩, ৭:০২ অপরাহ্ন

অলোক রায় স্টাফ রিপোর্টার: মাগুরার মহম্মদপুরে এস. ইউ. এস আত্মকর্মসংস্থান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বেসরকারি একটি এনজিও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের উৎসাহিত করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত সংস্থার দুই কর্মকর্তা গ্রাহকদের প্রায় কোটি  টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। সংস্থাটির নাম সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউ এস) নামে  মহম্মদপুর সদর কানাইনগর এলাকায় ব্রাক অফিসের পেছনে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সামনে এনজিওর নামে সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। সেটিতে লেখা রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত।সমাজ উন্নয়ন সংস্থা(এসইউ এস)। আত্মকর্মসংস্থান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। স্থাপিত ১৯৯৫, শাখা মহম্মদপুর।
ভুক্তভোগী নারী চরপাচুড়িয়া গ্রামের ফুলমতি ,জান্নাতি,অন্তরা বেগম ও বসুরধুলজুড়ি গ্রামের তাহমিনা  জানান,তাদের গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নারীদের নিয়ে সমিতি গঠন করেছে।
সমিতির প্রতিটি নারী সদস্যকে দুই বছর মেয়াদে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে জানায়। ঋণের বিপরীতে সঞ্চয় হিসেবে দশ হাজার টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেন।
 গত মঙ্গলবার সকালে ঋণের টাকা নেওয়ার জন্য তাদেরকে সদরের কার্যালয়ে আসতে বলে। কার্যালয়ে এসে তারা দেখতে পায় অফিসে তালাবদ্ধ। বাড়ির মালিক স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক গাজী কামাল তাদের পরিচয় ও অবস্থান সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন নাই। এনজিওর দুইজন কর্মকর্তা ছিলেন। এক জনের নাম রানা, অন্য জনের  নাম ভুক্তভোগীরা জানাতে পারেননি ।  রানা নামের ব্যক্তির মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন যার নম্বর পটুয়াখালী হ-১১-১৫০৬। তার মোবাইল নম্বর ০১৮৭৮১৮১৫০৭
চরপাচুড়িয়া গ্রামের ওবাদুল্লাহ মোল্যা,জাহিদুল ইসলামসহ পাঁচজন অভিযোগ করে বলেন, তাদের স্ত্রী ছাগল বিক্রি করে ঋনের আশায় ১০ হাজার টাকা করে জমা দেন। ওই  ভুয়া সংস্থাটি সদরের ব্রাক অফিসের পেছনে সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (এসইউ এস) প্রধান কার্যালয় গড়ে তোলেন। সেই কার্যালয় থেকে তারা এলাকার মানুষদের অধিক লাভ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের বিনিয়োগ করাতে থাকেন। প্রায় এক হাজার গ্রাহক তাদের অর্থ ওই এনজিওতে জমা করেন। অনেকে অধিক সুদের আসায় টাকা জমা করেন। অনেকে ঋণের টাকার বিপরীতে শতকরা ১০ ভাগ জামানত জমা রাখেন।  টাকা হারিয়ে গরিব   এসব গ্রাহক পথে বসে দিশেহারা হয়ে উঠেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (এসইউ এস) কথিত   চেয়ারম্যান রানার মুঠোফোনে  একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি সুইচ বন্ধ পাওয়া যায়।
ভাড়া নেওয়া বাড়ির মালিক গাজী কামাল জানান, কয়েকদিন আগে দুই জন তার বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়েছে।  কাগজপত্র দেখিয়ে চুক্তি করার কথা বলে তাদের কোনো খোজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে  মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার
রামানন্দ পাল জানান, সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস) নামের কোনো এনজিওর নাম তাদের  তালিকায় নেই। অল্পদিন কার্যক্রম চালিয়েছে এই এনজিওটি। বিষয়টি উর্দ্ধতন মহলকে জানানো হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host