ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি বীমা কোম্পানীর নারী মাঠকর্মী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে মধুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) আটকৃকতদের ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ১২ জুন দুপুরে উপজেলার আশাপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী একটি বেসরকারী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ১২ জুন উপজেলার আশাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমদাদ লস্কর (৩৮) তার পরিচিত এক ব্যক্তিকে দিয়ে ওই নারীকে ফোন দেন। ফোন দিয়ে তিনি একটি বীমার পলিসি খুলবেন বলে ওই নারীকে জানান এবং বলেন চর নওপাড়া আসতে। ওই নারী শনিবার দুপুরে চর নওপাড়া দাসপাড়া গ্রামে গিয়ে ইমদাদ লস্করের সাথে দেখা করেন। ইমদাদ লস্কর সেখান থেকে ওই নারীকে জনৈক ফিরোজ খন্দকারের পুকুর পাড়ে নিয়ে যান। পুকুর পাড়ে একটি টিনের দোচালা ঘরে ওই নারীকে বসতে দেন।
এরপর জোড়পূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণ করেন ইমদাদ লস্কর। এ সময় ওই স্থানে হাজির হন ওই এলাকার ফরহাদ শেখ (৩০) ও জুয়েল শেখ (২৮)। তারাও ওই নারীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ওই স্থানে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
এদিকে ওই নারীর কাছে থাকা মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান লিটন ও ফরিদ মোল্যা নামের অপর দুই ব্যাক্তি। বিকালে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তিনি অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়ি চলে আসেন। পরে বাড়ির সদস্যরা ওই নারীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টার ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মধুখালী থানায় রোববার সকালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। পরে সোমবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, বীমা কোম্পানীর নারী মাঠকর্মী গণধর্ষণের শিকারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ লস্কর, ফরহাদ শেখ, জুয়েল শেখ, লিটন ও ফরিদ মোল্যা নামের ৫ব্যাক্তিকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ওই নারীর চুরি হওয়া মোবাইল ও নুপুর উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।