বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের দেশে আসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আসামের গুয়াহাটি মিশনকে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেকোনো সময় ফিরতে পারেন সালাউদ্দিন।বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের গত ১ মার্চ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরানোর নির্দেশ দেন ভারতের একটি আদালত। অনুপ্রবেশের মামলায় শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বেকসুর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের করা আপিল খারিজ করে মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালত এ রায় দেন।
এ রায়ের পর একান্ত প্রতিক্রিয়ায় সালাউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে ফিরতে চান তিনি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির বর্তমান স্থায়ী কমিটির সক্রিয় সদস্য ও এক সময়ের প্রভাবশালী মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ।
নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই বছরের ৩ জুন শিলংয়ের একটি থানায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এরপর তাকে কয়েকদিনের জন্য পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে।
প্রায় ৩ বছর পর ২০১৮ সালে মামলাটির বিচারপর্ব শেষ হয়। ওই বছরই ২৬ অক্টোবর আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ ফের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। যে কারণে বেকসুর খালাস পেলেও বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি সালাউদ্দিন। তাকে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হত। সালাউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী আদালতের কাছে বরাবরই দাবি করে আসছিলেন, তার মক্কেল গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
সালাউদ্দিনের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে এতদিন যে আইনি জটিলতা ছিল, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ের জজ আদালতে এক রায়ে তা নিস্পত্তি হয়। রায়ে আদালত তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে এখন ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার চাইলে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সহায়তায় তাকে দেশে পাঠাতে পারবে।