সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরের নগরকান্দায় পুকুর খনন করার সময় প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরোনো একটি “কষ্টি পাথরের বিষ্ণ মুর্তি” উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ডাংগী ইউনিয়নের আটাইল গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ মন ওজনের মুর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার আটাইল গ্রামের জহুরুল হক গত কয়েকদিন ধরে তার জমিতে পুকুর খননের কাজ করছিলেন। ভেকু মেশিন দিয়ে খননের গভীর থেকে মাটি খননের সময় হঠাৎ শক্ত পাথরের সাথে ভেকুর ঘর্ষণে বিকট শব্দ হয়। এক পর্যায়ে ভেকু মেশিনের টানে মুর্তিটি উঠে আসে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বে এই এলাকায় হিন্দু জমিদারদের বসবাস ছিলো। এটি তাদেরই ব্যবহৃত মুর্তি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, কষ্টি পাথরের বিষ্ণ মুর্তি উদ্ধারের খবর মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মুর্তিটির ওজন প্রায় পাঁচ মন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে পূজাঅর্চনা শুরু করেন এবং উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি এক নজর দেখার জন্য সেখানে শত শত লোকের সমাগম ঘটে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, ভেকু দিয়ে পুকুর খননের সময় কষ্টি পাথরের একটি মূর্তি পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।ধারনা করা হচ্ছে এটি অনেক প্রাচীন ও মুল্যবান পাথরের তৈরি মুর্তি। আমরা এই মুর্তিটি হস্তান্তরের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারাই পরিক্ষা নিরিক্ষা করে বলতে পারবে এটি কিসের তৈরি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মূর্তিটি উদ্ধারের খবর পেয়েছি। মূর্তিটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিয়ম কানুন অনুসরণ করে মূল্যবান মূর্তিটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।