রকিবুল ইসলাম রুবেল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে পেটের দায়ে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে করোনা উপসর্গ নিয়ে অবাধ চলাফেরা করছে আবাসনের বাসিন্দারা।
লালমনিরহাট পৌরসভার ২টি আবাসনের ৩১০ টি পরিবারে মোট ৭০০ জন মানুষ গত ২০০৯ ও ২০১০ সাল থেকে বসবাস করে আসছেন। কিন্ত গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস দেখা দিলে, গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশে দফায় দফায় লকডাউন চলছে।
এতে লালমনিরহাটের ওই আবাসনের বাসিন্দারা কর্মহীন হয়ে পড়ে খুদার জ্বালায় কাঁদছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মের জন্য ছুটে যায় তারা। দিন মজুর মানুষ গুলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে কিংবা কোন চিকিৎসকের নিকট পরীক্ষার জন্য যায় না। তারা করোনা কি, অনেকে তা এখনো বুঝে না। ফলে দিন দিন ওই আবাসনে বসবাসরত বাসিন্দাদের মাঝে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার ৬ জুলাই সাপটানা আবাসন প্রকল্প কমিটির সভাপতি মোঃ রাশেদ ইসলাম জানান, আমাদের আবাসনে ৭০০ জন জনসংখ্যার মাঝে ৫০/৬০ জন শিশুসহ মহিলা ও পুরুষ জ্বর ও সর্দীতে আক্রান্ত হয়ে হর হামেশেই শহর-বন্দরে চলাফেরা করছেন পেটের তাগিদে। ভালো মতো চিকিৎসা না করার কারনে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবাসনের বাসিন্দা মজিবর রহমান জানান, আবাসনের মানুষ অধিকাংশই দিনমজুর, কাজ না করলে পেটে ভাত জোটেনা। বদিয়ার রহমানসহ আবাসনের অনেকেই জানিয়েছেন, কাজের প্রয়োজনে তাঁদেরকে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াতে হয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর জানান, আবাসনের মানুষ সরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। তাদের উপর উচিত সরকারি চিকিৎসা গ্রহন করে নিজেরা সুস্থ্য হবে। এবং অপরকেও নিরাপদ রাখবে।
এলাকাবাসী জানান, আবাসনের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য বিধি না মানায় দিন দিন জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনি জরুরি ব্যবস্তা গ্রহন করা না হলে করোনার ভয়াবহ ছোবলের আশংকা রয়েছে আবাসনে।
আবাসনের লোকজন হরহামেশাই এমন জীবাণু নিয়ে শহর-বন্দরে চলাফেরা করার কারনে বিশেষ করে লালমনিরহাট পৌরসভায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকার সচেতন মহল। অপরদিকে আবাসনের একাধিক মানুষ লকডাউনে বেকার হয়ে পরায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন বা পৌরসভার কোন ত্রান সহায়তা তারা পাননি।