পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আল আমীন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলায় ২নং পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়াম্যানকে আড়াই মাসেও গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে। অদৃশ্য ক্ষমতার কারনে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আলী আকবার। আজ শনিবার মামলার বাদী আহত আল আমিনের বাবা আলী আকবার অভিযোগ করে বলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আড়াই মাসেও গ্রেফতার হয়নি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে।
এ ব্যাপারে অন্যতম সাক্ষী আল আমিন বলেন, এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত (২৮ মার্চ) রাতে তাকে হাত পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গ্রেফতারকৃত মজিদ ও আলামসহ একদল যুবক। এরপর ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেই একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয় আমাকে। পরে আমার বাবা ১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এর নির্দেশে অন্যান্য অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আল আমীনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। মামলায় ইউপি চেয়াম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে সানি হাওলাদার আসামী হলেও দীর্ঘ আড়াই মাসেও তাদেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
আল আমিননের বাবা আলী আকবার জানান, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়াম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের লোকজন তার ছেলেকে মিথ্যা দোষারোপ করে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মামলা করলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যার বিভিন্ন ওপেনে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। চেয়ারম্যানের লোকজন নিয়মিত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্চে মামলা তুলে নেয়ার জন্য।
এ ঘটনায় ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে। চেয়ারম্যান ও তার ছেলে বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তদান্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, তার নামে মারধরের অভিযোগে মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য, ইন্দুরকানী উপজেলার আল আমীন নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ২নং পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়াম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার ও তার ছেলে সানি হাওলাদারসহ ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দেয়া হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজন আসামীকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মজিদ ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আলাম ফকিরকে গ্রেফতার কলেও চেয়ারম্যান ও তার ছেলে সহ বাকী আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।