সাময়িকভাবে বন্ধ হলো দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) সময় সংবাদকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব।
তিনি জানান, গত ২৫ মে প্রথম ইউনিট বন্ধের ১০ দিনের মাথায় আজ দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধ হয়। এ কারণে ইতোমধ্যে দেশবাসীর কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠা লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এর প্রভাব পড়বে ঢাকা, খুলনা ও বরিশালসহ সারা দেশে।
![](http://newssonarbangla.com/wp-content/uploads/2023/05/mycell-add-300x138.jpg)
তবে প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, এ মাসের ২৫ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে ৪০ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ আসার কথা রয়েছে। কয়লা এলে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আবারও জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে কয়লা আনতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করেছে। আর ভুক্তভোগীরা বলছেন, দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার, কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়বার পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে। অসহনীয় গরমের মধ্যে রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঘুমের ব্যঘাত ঘটছে সাধারণ মানুষের। সরকারি হিসেবেই সারা দেশে বর্তমানে দিনে আড়াই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আর রাজধানীতে ডিপিডিসি প্রতিঘণ্টায় ৩২০ এবং ডেসকো প্রতিঘণ্টায় ২৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করছে। অন্যদিকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৩২০ মেগাওয়াট। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) হিসাব বলছে, দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং বেশি। চলতি মাসের শুরুর দুদিনের পরিসংখ্যান সেই তথ্যই জানাচ্ছে। কারণ রাতে যে পরিমাণ চাহিদা থাকে, সেই পরিমাণ উৎপাদন হয় না। বৃষ্টি হয়ে গরম কমে এলে দিনে এবং রাতে কমবে চাহিদা। তাই আপাতত প্রকৃতিই ভরসা। এর বাইরে চলতি মাসের শেষ দিকে আমদানি করা কয়লা এলে উৎপাদনে আসবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর তখনই কেবল কমতে পারে লোডশেডিং। চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। তিন বছর আগে উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম পায়রা বিদুৎকেন্দ্রে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে।