পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠালো চীন। এটিই এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্রু মিশন। চীনের নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্রের মূল অংশে গিয়ে ভিড়বে শেনঝু-১২ নভোযানটি, যার নাম তিহানহি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমির জিকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লংমার্চ টু এফ রকেটের উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে সফলভাবে। খবর বিবিসি
এই অভিযানে অংশ নেয়া চীনের ৩ নভোচারী হলেন- নিয়ে হাইশেং, লিউ বোমিং এবং ট্যাঙ হঙবো। তারা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০ কিলোমিটার ওপরে স্থাপিত মডিউলে তিন মাস কাটাবেন। এ অভিযানের মাধ্যমে মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল চীনের।
নভোচারী দলটির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নিয়ে হাইশেন। তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন এয়ারফোর্স পাইলট। তার মূল লক্ষ্য হল, পুরো দলকে নিয়ে ২২.৫ টরে তিয়ানহে মডিউলকে সচল করে তোলা। উৎক্ষেপণের আগে নিয়ে বলেছেন, আমার অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
হাইশেন বলেন, আমাদের মহাকাশে বাসা বাঁধতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে কিছু নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে হবে। ফলে মিশন কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং হবে। আমারা বিশ্বাস, আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করলে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং যথাযথভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে, আমারা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারব। মিশন সম্পন্ন করার আত্মবিশ্বাস রয়েছে আমাদের।
আগামী এক থেকে দেড় বছরে মহাকাশে আরও ১১টি মিশন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। তাদের তৈরি মহাকাশ কেন্দ্রটিতে সোলার প্যানেল ও দুটি ল্যাবরেটরি মডিউল স্থাপনা করার কথা রয়েছে। নতুন এ মহাকাশ স্টেশনে প্রত্যেকে নভোচারীর থাকার আলাদা মডিউল রয়েছে। তবে বাথরুম, ডাইনিং, ডাউনিং এরিয়া ও যোগাযোগ কেন্দ্র ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলেছে। আইএসএসের চেয়ে অনেক ছোট তিয়াংগং আগামী ১০ বছর তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। ২০২২ সালের মধ্যেই স্টেশনটি কার্যকর হবে বলে মনে করছে চীনা মহাকাশ সংস্থা চায়নিজ স্পেস এজেন্সি।