এনএসবি ডেস্ক: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিগ্রী কলেজ উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত ডিগ্রি কলেজে স্নাতক পর্যায়ে সংখ্যাগরিষ্ট ছাত্র ছাত্রী লেখাপড়া করে। সারা দেশে দুই শতাধিক উচ্চ মাধ্যমিক এম পি ও ভুক্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ নেই। ২০২১ সালের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জনবল কাঠামোতে নন এম পিও ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের আলাদা কোন বিধিমালা না থাকায় অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত রেজুলেশনে নিয়োগ দেয়ার স্পষ্ট বিধান অনুযায়ী যে সব কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারাও মাউশি থেকে বেতন পাচ্ছেন না। যে কারণে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও কেউ আবেদন করেন না। বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার নন এমপিও ভূক্ত ডিগ্রী কলেজ ,মাতৃভাষা কলেজে শেখ মোঃ আহসান হাবিব ৩ জানুয়ারী ২০২৩ সালে যোগদান করেন। আজ পর্যন্ত তিনি বেতন পাননি। অতি মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। মাউশি খুলনা আঞ্চলিক অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান জনবল কাঠামাতে ডিগ্রী কলেজের যে পরিপত্র তা এমপিও ভূক্ত ডিগ্রী কলেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । নন এমপিও ডিগ্রী কলেজের কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা এখানে নেই। তাছাড়া এ ধরনের কলেজের অধ্যক্ষগণের ৫ কোডে বেতন ছাড়ার কোন নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া যায়নি। দেশে প্রায় ১৭ টি অধিভুক্ত নন এমপিও ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সংশোধিত পরিপত্র ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১০ জানুয়ারি নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ড দ্বারা নিয়োগকৃত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগ অনুমোদিত অধ্যক্ষ গণের বেতনের কোন আবেদন মাউশি গ্রহন করছেন না। ইতোমধ্যে যারা বেতনের আবেদন করেছেন তাদের নাকচ করে দেয়া হেয়েছে। এহেন অবস্থায় দেশের ২ শতাধিক নন এমপিও ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ বিহীন চলছে । কলেজ প্রশাসনে ভারপ্রাপ্ত বারবার পরিবর্তন করতে কলেজ গুলির প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে।