তুমি বলেছিলে,
আমি যেন মাটি হই।
আমার বুকের নরমে ঘাস ফুলের গন্ধে
তুমি পরম সুখে ঘুমোবে বলে।
আমি জানতাম,
বৃষ্টি ছাড়া মাটির বুকে কিছুই জন্মায় নি।
তুমি আমার জন্য বৃষ্টি আনতে গিয়ে দেখলে
আমার সীমাহীন আকাশ।
গায়ে আমার ডোরাকাটা মেঘ।
তুমি শাসন করে আবার আমায় মাটি বানালে।
আমার বুকে চৈত্র এলো,
তুমি ব্যথা পেলে।
তোমার আর মাটির বুকে ঘুমোনো হলো না।
আমরা ভোর দেখতে বের হলাম,
নিমফুলের গন্ধে
বাতাস এসে লাগলো আমার ভেজা চুলে।
তুমি আঁচল তুলে মাথায় দিলে আমার।
আকাশ কালো করে মেঘ জমলো,
মিষ্টি গন্ধে ভরা ভোর টা,
কেমন জানি হয়ে গেলো,
তোমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
আমরা দুজনে আবার সন্ধ্যা দেখতে এলাম,
আকাশে তখন আধখানা চাঁদের আলো।
তুমি আমার নুপুর খুলে দিলে।
অমনি চাঁদটা কেমন মিলিয়ে গেলো।
তোমার আর সন্ধ্যা দেখা হলো না।
তুমি সেদিন রাগ করেছিলে বলে
খাইনি সারা দুপুর জুড়ে।
রাতে তুমি খাইয়ে দিলে,
বললে পাগলি একটা।
আমার কি ঐটুকু অধিকারও নেই?
আমি অধিকার দিলাম।
আমার সকাল টা দিলাম।
আমার অলস দুপুরটা,
তোমার ঘুম জড়ানো কণ্ঠে হারালাম।
বিষন্ন বিকেলে তুমি বাগানের কলি হলে,
আমি তাতে জল ঢাললাম।
তুমি ফুল হলে না।
রাতের গভীরে আমি অপেক্ষা হলাম,
যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা সময় হলাম।
সত্যি বলতে কি
আমার ও অধিকার টা চাই।
তোমার চুলের মাঝে আঙুল হবার,
তোমার ঘরের ছন্দ হবার,
কিংবা তোমার উনুনে আগুন দেবার।
প্রজাপতির পাখায় যে হরেকরকম রং
তাকে সাদাকালোয় বেঁধোনা
দোহাই তোমার।
চেয়ে দেখো আমার ভালোবাসায়
সব ক’টা রং আছে।
শুধু তাকে একটু বুঝতে চাও,
তোমার জন্য তার সবটা।
বাঁচতে আসো একসাথে,
অধিকার কিংবা অহংকারে।