খুলনা প্রতিনিধি।। ডুমুরিয়া উপজলার মিকশিমিল-খরসঙ্গ এলাকায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক আকরাম সরদার-সহ বাড়ির লোকদের অচতন করে ৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে দেড়লি ও কোমরাইল গ্রামের ২ বাড়ি থেকে অজ্ঞান পার্টিরা সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। রাত হলেই অজ্ঞান পার্টির আতংকে ভুগছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভাগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশর সাবেক উপ-পরিদর্শক আকরাম সরদার অবসর নিয়ে উপজলার মিকশিমিল বাজার এলাকায় তার পরিবারের সঙ্গে নিজ বাড়িত বসবাস করেন। মঙ্গলবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শষ সাড় ১১টার পর ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ঘুম ভাঙ্গলে তিনি বিছানা থেকে দাড়াতে গেলে পড়ে যান। তখন পরিবারের অন্যদের ডেকেও কোনা সাড়া পাননি। অনেক ডাকা-ডাকির পর তার স্ত্রী সাড়া দেওয়ায় ঘরে আলো জ্বালিয়ে দেখতে পান, আলমারির দরজা খোলা, এবং ভেতরে ড্রয়ার ফাঁকা। গতকাল বুধবার ভোরে প্রতিবেশি ও আপনজনেরা মিলে আকরাম সরদার তার স্ত্রী আফরাজা বেগম (৫২), মেয়ে আফসানা আখি (৩০) ও তার ২১ মাস বয়সী জমজ ২ পুত্র আয়ার ও আহানতকে চিকিৎসার জন্য রঘুনাথপুর ওয়েল ফেয়ার ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে সকলের চিকিৎসা শেষে দুপুরে তারা বাড়িতে ফিরে আসেন। এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক আকরাম সরদার বলেন; আমার জ্ঞান ফেরার পর দেখলাম, স্বর্ণের ২টি রুলি(চুড়ি), ২টি চেইন, কয়েক জোড়া কানের দুল-সহ অনুমান ৯ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৮ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে।
উল্লখ্য চলতি জুলাই মাসের ১৮ তারিখে উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্প এলাকার দেড়লি গ্রামের তৌফিক হাসান ও তার স্ত্রীকে অচেতন করে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অপরদিকে ২০ জুলাই একই এলাকার কোমরাইল গ্রামের মাহফুজুর রহমান গাজী’র বাড়িতে অচেতন করে স্বর্ণালংকার-সহ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গ সংশ্লিষ্ট রঘুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক মাসুম বলেন, আকরাম সাহেবের বাড়ি গ্রিল কেটে অজ্ঞান করে এ কাজ করেছে। অপরাধিদের ধরতে আমরা চষ্টা করছি। তবে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখ কনি মিয়া বলন, ইতোমধ্যে বেশ-কিছু তথ্য হাতে আসায় আমরা জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, ভালা খবর পাবেন।