ডেস্ক নিউজ: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা খানম মিথিলার বিরুদ্ধে। এমনকি স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটকও করেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে চাটখিল বাজারের খোকন ভিডিওর গলিতে ডা. মিথিলার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডা. মিথিলা ও আইসিটি অফিসার কাজী মইনুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় স্থানীয় ১৫-২০ জন যুবক তাদের হাতেনাতে আটক করে। গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা শেষে পরকীয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া এবং ওই যুগলের আপত্তিকর অবস্থার ছবি-ভিডিও মুছে ফেলার জন্য এক লাখ টাকায় রফা হয়। কিন্তু কয়েকজন যুবক টাকা না পেয়ে রাতের ঘটনার ভিডিও-ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলে ঘটনাটি চাটখিলের টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং ওইসব ছবি-ভিডিও মুছে ফেলতে উঠেপড়ে লাগেন।
এ বিষয়ে ডা. ফারহানা খানম মিথিলা বলেন, এটি ভুয়া খবর। আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
আরেক অভিযুক্ত কাজী মইনুল ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমি ডা. মিথিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি আমাকে জানান- ওই আইসিটি অফিসার মায়ের মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে তার বাসায় গিয়েছিলেন। ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ঝামেলা করে।
চাটখিলের ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।