ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ সনাক্তের একঘন্টার মধ্যে আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে ফ্রিজে রাখা লাশ সনাক্ত করেন ওই যুবকের মামা পৌরসভার উদয়পুর গ্রামের শাকিল হোসেন। অজ্ঞাত লাশ মাগুরা জেলার সদর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের শামিম হোসেনের ছেলে সাকিব (১৭)’র বলে জানা যায়। সাকিব দীর্ঘদিন ঝিনাইদহ পৌরসভার উদয় পুর গ্রামে তার নানা বাড়িতে বসবাস করত। পুর্বশক্রুতার জের ধরে একই গ্রামের আশরাফুল মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা গত ৩জুলাই রাতে সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে পাটের জমিতে নিয়ে সাকিবকে হত্যা করে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, আসামীর ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি মতে, ৪/৫মাস পূর্বে উদয়পুর গ্রামে ২টি মোবাইল চুরি হয়। সেসময় সাকিব বলে দেয় মোবাইল দুটি মনির চুরি করেছে। তখন গ্রামের লোকের মারের ভয়ে আসামী এলাকা থেকে কিছু দিন গাঢাকা দেয়। পরবর্তিতে মোবাইল চুরির ঘটনা শিথীল হলে আসামী এলাকায় ফিরে আসে। সেই থেকে সাকিবের উপর আসামীর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই সূত্র ধরে গত ১জুলাই মনিরের সাথে সাকিবের দেখা হলে উভয়ে একসাথে ছাগল চুরির পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক একই দিনে রাত অনুমান সাড়ে ৮ দিকে তারা একত্রিত হয় এবং আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মাঠে রবি মিয়ার পাট ক্ষেতের পাশে গাঁজা, বিস্কুট, পানি ও সিগারেট খাইয়ে সাকিব কে মেসামাল করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়, এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনির সাকিবকে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার দুদিন পর ৩জুলাই কৃষকরা পাট ক্ষেতে গেলে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়, পরে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। গত ৬জুলাই সাকিবের মামা লাশটি সনাক্ত করে এবং এর দু ঘন্টা পরেই ঝিনাইদহ থানার পুলিশ আসামী মনিরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামীর ভাষ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, রক্তমাখা গামছা, লুঙ্গি এবং পাশে পড়ে থাকা কনডমের খালি প্যাকেট, গাঁজার কোলকে, কাইচি উদ্ধার করে জব্দ তালিকা দেখিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় আসামীকে হস্তান্তর করা হয়। এর সাথে অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান।