ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহ শহরের মডার্ণ মোড় থেকে পুরাতন ধোপাঘাটা ব্রিজ অভিমূখে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়ে সড়কটির “কৃষ্ণচূড়া অ্যাভিনিউ” নামকরণ করেন ঝিনাইদহের সদ্য সাবেক জেলা প্রকাশক মনিরা বেগম। সড়কটির দুই ধারে লাগানো হয় অনেক গুলি দৃষ্টি নন্দন কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদি সংগঠনও কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করে রাস্তার দুই ধারে। কিন্তু সেই সড়কের দুই ধারে মেলার দোকান বসিয়ে গাছ গুলির জীবন বিপন্ন করে তোলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গাছ স্টল তৈরির সময়েই ভেঙে ফেলা হয়েছে। আবার অনেকগুলি গাছ দোকানের মধ্যে রেখেই দোকানের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। এই গাছগুলোও মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত মারা যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। জানাগেছে, দূর্গা পূজার পরেই রাস্তার ধারেই মেলা বসাচ্ছেন মডার্ণ মোড় এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী রোকন। তিনি প্রতিবছরই মেলা বসান। এর আগের বছর সরকারের বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে মেলা চলমান অবস্থায় বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসক। এবারও কেমন করে তিনি আবার মেলার মাঠ পরিচালনার অনুমতি পেয়েছেন। পরিবেশ কর্মী মাসুদ আহমেদ সনজু বলেন, বৈশি^ক উষ্ণতা থেকে বাঁচতে সরকার বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করছে। আমাদের সবার দায়িত্ব গাছ লাগানো। সেখানে যার ব্যবসায় হলো গাছ মেরে কাঠ তৈরি করা তিনিই আবার জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়িত কৃষ্ণচূড়া অ্যাভিনিউয়ের কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলিই দোকান তৈরি করে মেরে ফেলছেন। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রেখে প্রয়োজনে অন্য স্থানে মেলা বসানো হোক। এব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসকেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।