এনএসবি ডেস্ক: জলদস্যুর ঝুঁকি এড়াতে ভারত মহাসাগরসহ বেশকটি সামুদ্রিক রুটে আর্মস গার্ড নেয়ায় জাহাজ পরিচালনায় খরচ বাড়ছে। সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে ১ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে আর্মস গার্ডের পেছনে। মূলত বাংলাদেশি মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর থেকে আর্মস গার্ড নেয়ার পরিমাণ তুলনামূলক বেড়েছে।হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থানের কারণে এমনিতেই লোহিত সাগর বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তার সঙ্গে সামুদ্রিক জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রুট ভারত মহাসাগরে বেড়েছে সোমালীয় জলদস্যুদের অপতৎপরতা। তাই ঝুঁকি এড়াতে নেয়া হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল আমর্স গার্ড।মূলত জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ অন্তত ৬টি পয়েন্টে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী আমর্স গার্ড নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশি জাহাজগুলো। আর এতে প্রতিটি জাহাজে খরচ পড়ছে সর্বনিম্ন ১০ হাজার মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ১ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। ফলে বাড়ছে জাহাজ পরিচালনা খরচ।
তবে ইন্টারন্যাশনাল আর্মস গার্ড নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে আর্মস গার্ড নেয়া জাহাজে যেমন জলদস্যুরা হানা দেয় না, তেমনি যেসব জাহাজে আর্মস গার্ড থাকছে না, তার তথ্যও জলদস্যুদের কাছে চলে যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব রহমান বলেন, জাহাজে আর্মস গার্ড আছে কি-না, এ তথ্য জলদস্যুদের কাছে আগেই ফাঁস হয়ে যায়। ফলে বাড়ে আক্রমণের ঝুঁকি। সুযোগ পেলেই ঘটে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা।
এদিকে, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর জাহাজটির নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই নৌ-বাণিজ্য অধিদফতর জাহাজগুলোকে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেয়। তবে এর ফলে বাড়ছে জাহাজ পরিচালনা ব্যয়।
মূলত ইন্টারন্যাশনাল আর্মস গার্ড সংস্থাগুলো অর্থের বিনিময়ে চুক্তিভুক্ত জাহাজগুলোকে নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত সশস্ত্র পাহারা দিয়ে আসছে। আর ভারত মহাসাগারের সোমালিয়ান অংশে চলতি বছর অন্তত ১৫টি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ে।