বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা নিজে দেশে কীভাবে ফিরে যাবে, সে লক্ষ্যে চীন সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চীন সরকারের পক্ষ থেকে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট হস্তান্তরকালে তিনি এ কথা জানান।
লি জিমিং বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে চীন মধ্যস্থতা করছে। গত দুদিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের প্রতিনিধি এবং ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িতে তাদের দেশে ফিরে যাক সেটাই চায় চীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চীন সবসময় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে সহযোগিতা করে আসছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও চীন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে সব রকম সহযোগিতা করে যাবে। চীন বাংলাদেশের একান্ত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবসময় চীন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবাসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে চীন সবসময় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহযোগিতা করে আসছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও চীন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে সব রকম সহযোগিতা করে যাবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত জানান চীন বাংলাদেশের একান্ত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবসময় চীন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবাসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কক্সবাজারের মানুষের জন্য ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত। পরে তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মোমিনুর রহমান প্রমুখ।