এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ছয়জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার নিউজ সোনার বাংলা ডট কমকে  জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার আকলিমা, সাতক্ষীরার তালার মো. সিফাতুল্লাহ্, খুলনার মৌলভীপাড়ার ফেরদৌসী ইসলাম ও নাইলী, খুলনার ডুমুরিয়ার আম্বিয়া এবং বাগেরহাটের মোংলার প্রদীপ কুমার।

এছাড়া ১৩০ শয্যার হাসপাতালটিতে সকাল পর্যন্ত ১৬৯ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে রেডজোনে ৯৯ জন, ইয়ালো জোনে ২৫ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।

গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- বাগেরহাট সদরের লাউপোল এলাকার নারায়ণ, খুলনার বটিয়াঘাটার জেবুন্নেসা, নড়াইলের লোহাগড়ার কতাকল এলাকার আব্দুর রহমান, গোপালগঞ্জের আড়পাড়ার সুফিয়া বেগম এবং খুলনার হরিণটানা এলাকার এমএ হাশেম।

এছাড়া হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন আরো ২৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন। আইসিইউতে রয়েছেন চারজন আর এইচডিইউতে আছেন ৯ জন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৭ জন, তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৪ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ নিউজ সোনার বাংলা ডট কমকে জানান , রোববার রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে যা পরীক্ষার প্রায় ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে খুলনার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৪০ জন, যশোরে তিনজন, সাতক্ষীরায় তিনজন, নড়াইলে একজন, পিরোজপুরে একজন, গোপালগঞ্জে তিনজন এবং ঢাকার একজন রয়েছে।