শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কারকারিদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,গুলি বর্ষণ, পুলিশসহ আহত-৪০, আটক-২ সারা দেশে নিহতের সংখ্যা ১৩ স্বাচিপ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মামুন, সম্পাদক ডাঃ কাওসার শিবির কর্মী-ছাত্রদল এবং বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে-মোজাম্মেল হক সারা বাংলা র ৮৮ এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন সারা বাংলা’র ৮৮ মাদারীপুর জেলা প্যানেলের উদ্যোগে চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীপালন ঝিনাইদহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত-২০ রংপুরে পুলিশের গুলিতে কোটা আন্দোলনকারী আবু সাঈদ নিহত চীন-রাশিয়া সামরিক মহড়া ছাত্র নিহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অসত্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

কোটচাঁদপুরে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিচ্ছেন চোখের চিকিৎসা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
Update : শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৭:১০ অপরাহ্ন

চক্ষু চিকিৎসার উপর প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রী নেই। নেই কোন সার্টিফিকেট। অথচ এরা চক্ষু চিকিৎসক। মানব দেহের অতি প্রযোজনীয় ও গুরুত্বপুর্ন অঙ্গ এরা চিকিৎসা করছেন প্রতিদিন। সময়ে সময়ে করছেন অপারেশন। এ সব কথিত চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় অনেকে চিরতরে অন্ধ হচ্ছেন।

ঝিনাইদহ জেলার কোটাঁদপুর কলেজ মোড়ে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র ও মেইন স্ট্যান্ড থেকে পোস্ট অফিস মোড়ে যেতে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র দুটিতে ‘কদম আলীর ডিগ্রী নাই’ জাতীয় দুই ব্যক্তি চিকিৎসক দিয়ে যাচ্ছেন।

প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র রোগী দেখেন ডাঃ সুমন কুমার বালা। আর প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র রোগী দেখেন মনিরুজ্জামান। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সুমন কুমার বালা প্যারামেডিকেল পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়েছেন।

অন্যদিকে মনিরুজ্জামান খুলনার শিরোমনি হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারী হিসাবে চাকরি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। মনিরুজ্জামানের কোন একাডেমিক ডিগ্রী নেই। এই দুটি চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের বিজ্ঞাপণ দেওয়া ক্যাবল লাইনে। সেখানে প্রচার করা হয় বিনা অপারেশনে চোখের ছানি অপসারণসহ চটকদার বিজ্ঞাপণ। তারা প্রতিদিন একেক জন ৫০ জন করে রোগী দেখেন। ১০০ টাকার ভিজিটে দেন প্রেসক্রিপশন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ চক্ষু পূণর্বাসন কেন্দ্র ও চক্ষু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডাঃ শেখ আব্দুল হালিম জানান, হেলথ এসিসট্যান্ট কিভাবে প্রেসক্রিপশন লেখে আমার জানা নেই। চোখ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সামন্য ভূলে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।

কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তার মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ১১ বছর শিরোমনি হাসপাতালে চাকরি করেছি। ডাক্তারের সাথে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই রোগী দেখি। কোন সমস্যা হয় না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন আমার বিষয়ে জানেন।

ডাঃ সুমন কুমার বালা বলেন, আমি প্যারামেডিকেল থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা করেছি। ট্রেনিং নিয়েছি। আমি এখানে চাকরি করি। আমার সার্টিফিকেট যা আছে সব সঠিক। কিছুতো একটা করতে হবে। আমি এখানে চাকরি করি।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরের কলেজ স্ট্যান্ডে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ভুমি অফিসের কর্মচারী।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জরুরী জুম মিটিংয়ে থাকায় তিনি বক্তব্য দিতে পারেন নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host