আ.শ.ম. এহসানুল হোসেন তাইফুর, কেশবপুর থেকে: কেশবপুরে ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান হত্যা মামলায় আসামীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সোহানের বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে শত শত মানুষ কেশবপুর প্রেসক্লাব থেকে শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাস চত্ত্বর পর্যন্ত ওই মানববন্ধনে অংশ নেন।
গত ৭ মে (শুক্রবার) বেলা ১১ টা দিকে বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন শেল্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি সহায়তা বিতরণ চলছিল। এ সময় কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এতে দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হন। শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল ও আবুল কালাম আজাদ গত পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদের ভাইপো ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান মারাত্মক আহত হলে তাঁকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার (১২ মে) রাতে মারা যান তিনি। নিহত ছাত্রলীগ নেতা সারাফাত হোসেন সোহান কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। সোহানের মৃত্যুর খবরে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়।
সংঘর্ষের ঘটনা উল্লেখ করে সোহানের চাচা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মেহেদী হাসান (২৮), শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুল (৪৬), সোহেল (২৮), রাজু হোসেন (২৩), আব্দুর রশিদ (৪৫), রহিম হোসেন রানা (২৪) ও আমির আলী (৪৫)। মামলায় আরো পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সারাফাত হোসেন সোহানের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসীর সৌজন্যে গত বৃহস্পতিবার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় আসামিদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো হয়।
সোহানের বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, সোহানের বন্ধু জাহাঙ্গীর আলম (খান রকি), আল আমিন, মোহাম্মদ নাসিম, তাজিম, বাদল দাস, বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ স¤পাদক হাফিজুর রহমান, সোহানের বাবা আব্দুল হালিম, চাচা আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। বক্তারা সারাফাত হোসেন সোহান হত্যা মামলার আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক শেখ এবাদত সিদ্দিকী বিপুলসহ জড়িতদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবি জানান।