মানুষের মন পড়তে বা বুঝতে পারে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিস্টেম (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) উদ্ভাবনের দাবি করেছেন চীনের হেফেই কমপ্রিহেনসিভ ন্যাশনাল সায়েন্স সেন্টারের গবেষকরা। তারা বলেছেন, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের আনুগত্য পরিমাপ করার ক্ষমতা আছে এই সিস্টেমের। বৃটিশ একটি পত্রিকা এ নিয়ে রিপোর্ট করেছে। তাতে বলা হয়েছে, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মুখের অভিব্যক্তি বিশ্লেষণ করার এবং তাদের ব্রেনে যে তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, তা পড়ার ক্ষমতা আছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। চিন্তাভিত্তিক শিক্ষার বিষয়ে সদস্যরা কতটা প্রতিক্রিয়াশীল তাও পরিমাপ করতে পারবে এই ব্যবস্থা। চীনের একজন সাংবাদিক ডিডি তাং বলেছেন, এই প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে আর্টিকেল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। কিন্তু এর অল্প পরেই তা আবার মুছে দেয়া হয়েছে। ওই আর্টিকেলে বলা হয়েছিল, কৃত্রম বৃদ্ধিমত্তা চিন্তা এবং রাজনৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে বাস্তব ডাটা সরবরাহ করবে, যাতে এসব ক্ষেত্রে উন্নতি করা যায়।
এসব ক্ষেত্র সমৃদ্ধ হয়। এর মাধ্যমে দলীয় সদস্যদের আস্থা ও সংকল্পকে দৃঢ় করবে। এই গবেষক দলে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির ৪৩ জন সদস্য। তারা এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করেছেন। ডিডি তাং আরও বলেছেন, ওই আর্টিকেলের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। তাও মুছে দেয়া হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গবেষকরা একটি বুথে প্রবেশ করে আর্টিকেল পড়ছেন। এসব আর্টিকেল তাদের দলীয় নীতি ও অর্জনকে অনুমোদন করে। এসব বুথ ওইসব গবেষকের এক্সপ্রেশন বা অভিব্যক্তি দেখতে পায়। সম্ভবত এক্ষেত্রে সার্ভিলেন্স ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। তবে পুরো প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে সে বিষয়টি অস্পষ্ট। তবে চীনে এমন প্রযুক্তি এটাই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট রিপোর্ট করেছিল যে, কারখানা কর্মীদের আবেগ অনুভূতি পড়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল একই রকম প্রযুক্তি। তা ব্যবহার করে তাদের হতাশা, ক্ষোভ ও রাগ চিহ্নিত করা হতো।