কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ কয়রা সদরের ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে কোহিনুর সহ আরও অনেক নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে। গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের ১নং কয়রা গ্রামের আবু বাক্কার মোল্যার পুত্র শফিকুল ইসলাম নামের এক রাজমিস্ত্রী একই গ্রামের শেহের আলী ঢালীর কন্যা রাবেয়া আক্তারের নিকট কাজের টাকা পায়। সেই বিষয়টি শফিকুল ইসলাম আমার নিকট অভিযোগ করেন। আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সম্বনয়ে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম টাকা পাইবে বলে সিধান্ত গ্রহন করে রাবেয়াকে ১৫ দিনের মধ্যে তার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। রাবেয়া আমাদের সিধান্ত না মেনে শফিকুল টাকা চাইলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করবে বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায় গত ৬ আগস্ট কুরুচীপুর্ন একটি ছবি দেখিয়ে রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে কয়রা উপজেলার বিজ্ঞ সাব জজ আদালতে শফিকুল ও আমাকে আসামী করে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। আমাকে ঐ মামলায় ধর্ষনের সহায়তাকারি হিসাবে অসামী করা হয়েছে। বর্তমান ঐ মামলায় মহামান্য হাইকোট থেকে জামিন নিয়ে আমি বাড়িতে রয়েছি। শুধু ঐ মামলা করেও সে বসে থাকেনি। আমাকে জেল হাজতে পাঠাতে না পেরে পুনরাায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে কয়রা উপজেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শফিকুলের ভাই, আমি সহ আরও নিরীহ মানুষের নামে তাকে মারপিট করার অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আদালত থেকে সমন জারী করা হয়েছে। ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান আরও বলেন, রাবেয়া আক্তারে বিরুদ্ধে কয়রার অনেক নিরীহ মানুষকে ফঁাদে ফেলে হয়রানী করে অর্থ আদায় করার অভিযোাগ রয়েছে। যা তদন্ত করলে সকল রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হবে। তার এ ধরনের কর্মকান্ডের নিরীহ মানুষ হয়রানী হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে এলাকাবাসি মানববন্ধন কর্মসুচীর মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নিরীহ মানুষদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে রাবেয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে রাবেয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অমি কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেনি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।