আব্দিুল হান্নান কামাল, কক্সবাজার থেকে: ট্রেনে চড়েই যাওয়া যাবে কক্সবাজার। একদিনের জন্য হোটেল ভাড়া না করেই রেলস্টেশনে ব্যাগ রেখে ঘোরাঘুরি করে আবার রাতেই ফিরে যেতে পারবেন পর্যটকরা। সেপ্টেম্বরেই চালু হতে যাচ্ছে সাগরিকার সঙ্গে রেলযোগাযোগ। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই যাত্রা শুরু করবে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন। যেখানে থাকবে আবাসিক ব্যবস্থা, শপিং মল, রেস্তোরাঁসহ সর্বাধুনিক সব সুবিধা।
২০১৮ সালের মার্চ থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ। এরমধ্যে থাকছে মোট ৯টি স্টেশন। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রেললাইন স্থাপনসহ দোহাজারী, চকোরিয়া এবং কক্সবাজার শহর- এই ৩টি স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হবে। ফলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রেল চলাচল করতে পারবে কক্সবাজার পর্যন্ত। বাকি ৬টি স্টেশন চালু হলে ডিসেম্বরেই পুরোপুরি সম্পন্ন হবে এই প্রকল্পের কাজ। এছাড়া ঝিনুক ফোটা সাগরিকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ঝিনুকের আকারে দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন। ৬ তলা আইকনিক এই স্টেশনে আবাসিক ব্যবস্থা ছাড়াও থাকবে নানান ব্যান্ডের দোকান, রেস্তোরাঁ, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, এটিএম বুথ, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধাই১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকার বিশাল এই রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়নের গুরুভার সামলাচ্ছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এই নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ম্যানেজার জানান, এই স্টেশনের নিচতলা দিয়ে যাত্রী আগমন এবং দ্বিতীয় তলায় থাকবে প্রস্থানের ব্যবস্থা। আগামী দিনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীন করিডরে যোগাযোগে বড় ভূমিকা রাখবে এই রেলপথ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক চ্যাং ইয়োঙ্গি বলেন, এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের অগ্রগতি ৯০ শতাংশ। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষে এই প্রকল্প আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পরবো। নিচ তলায় যাত্রী আগমন এবং দোতলায় যাত্রী প্রস্থানের ব্যবস্থা ছাড়াও আরও চারটি ফ্লোর থাকবে এই স্টেশনে। শুধু পর্যটন নয় সামুদ্রিক মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল, বনজ ও কৃষিজ পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও বাণিজ্যিক ভূমিকা রাখবে এই রেলপথ।