রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

কয়রায় মেডিকেলে চান্স পাওয়া দরিদ্র মেধাবী রেজওয়ানের পাশে দাঁড়ালেন কয়রার ইউএনও

এস এম এ রউফ
Update : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৫:৪০ অপরাহ্ন

কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধি ঃ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। তার মধ্যে কয়রার সাতহালিয়া গ্ৰামের হতদরিদ্র পরিবারের ছাত্র রেজওয়ান আহমেদ ।
মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার  সুযোগ পেয়েও  পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে  ভর্তি ফি জোগাড় করার সমস্যা নিয়ে তিনি হতাশায়। রেজওয়ান , তার জন্য মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই সুযোগ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের সমস্যার কারণে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রেজওয়ান আহমেদের  বাড়ি উপকূলীয় অঞ্চল  খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাতহালিয়া গ্রামে। তাঁর বাবা ইব্রাহিম খলিল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে সল্প বেতনে চাকরি করেন এবং মা আছিয়া খাতুন গৃহিণী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে রেজওয়ান মেজ। ভাইবোনেরা স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছেন। সে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।

রেজওয়ান আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুলের পাঠ্যবই কেনার টাকা নিয়ে তার পরিবার প্রায়ই সমস্যায় পড়ত। তবে, সে কখনোই থেমে থাকেনি।অনেক না পাওয়ার মধ্যে বেড়ে উঠলেও তিনি শিক্ষাজীবনে প্রতিটি ধাপে সাফল্য পেয়েছেন।

গ্রামের  সাতহালিয়া সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পাস করার পর ভর্তি হন গিলাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ২০২১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে খুলনা সুন্দরবন কলেজে ছেলেকে ভর্তি করান রেজওয়ানের বাবা। সেখানেও জিপিএ-৫ পেয়ে সাফল্য আনেন রেজওয়ান। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি তিনি। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কয়রা উপজেলা থেকে একমাত্র রেজওয়ান  গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

রেজওয়ান আহমেদের বাবা ইব্রাহিম খলিল যানায় ‘আমি অল্প বেতনে চাকরি করি। ২০১৫ সালে হঠাৎ আমার হৃদ্‌রোগ ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন ধারদেনার মধ্যে  সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি দিতে হয়। ছেলেটার মেডিকেলে ভর্তি আর পড়ালেখার খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য আমার নেই। আগামী মাসের ২ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে ছেলেকে ভর্তি করাতে হবে। এখনো ভর্তির টাকাই জোগাড় করতে পারিনি। এখন খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
এমন সংবাদ কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুশী বিশ্বাসের দৃষ্টি গোচর হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০০০০/-(বিশ হাজার) অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এবং তিনি বলেন,আমাদের সকলের দায়িত্ব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান যানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। যাতে অর্থাভাবে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণে বাধাগ্রস্ত না হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host