বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

নিসচার ইতিহাস বদলে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে খুলনায় স্মারকলিপি প্রদান

Reporter Name
Update : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৭ অপরাহ্ন

খুলনা প্রতিনিধি: নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) ইতিহাস বদলে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খুলনায় স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন নিসচার খুলনা মহানগর শাখার নেতারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. মেরাজ হোসেন, অর্থ সম্পাদক আফজাল দেওয়ান, কার্যনির্বাহী সদস্য সহকারী অধ্যাপক এমএ মান্নান বাবলু, মো. এম এ সাদী, হুমায়ুন কবীর, মো. মাসুম বিল্লাহ ইমরান প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২শে অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ এর সরকারি অনুষ্ঠানে দিবসটির প্রস্তুতি সভায় সেখানে নিরাপদ সড়ক চাই-এর ভূমিকাকে গৌণ করে রেখেছিল। প্রস্তুতি সভাগুলোতে না পারার মতো আমন্ত্রণ এবং উপস্থিতি সদস্য সংখ্যার তালিকা ছোট করে নামকাওয়াস্তে আমন্ত্রণ জানিয়ে তারা খ্যান্ত থাকেননি গত সাত বছরের রীতি রেওয়াজ যেগুলো সাধারণত অতিত কর্মকান্ড পরিচালনায় কনভেনশন আকারে চিহ্নিত হয়ে থাকে সেটারও ব্যত্যয় ঘটানো হয়।

বিশেষ করে বিশেষ দিনগুলোতে সেরকম কারো অবদানে প্রেক্ষাপট রচিত হলে তাকে নানা আয়োজনে সম্মান জানানো হয়, অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। যেহেতু ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ইলিয়াস কাঞ্চন এবং নিরাপদ সড়ক চাই-এর দাবি ও নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াসে এসেছিলো সে কারণে বিগত দিনে যে সরকারই ক্ষমতায় ছিলো এই দিবসে ইলিয়াস কাঞ্চনকে একটা সম্মান জানানো হতো। ইলিয়াস কাঞ্চন সেদিন রোড সেফটির উপরে এবং সড়ক নিরাপত্তায় বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরতেন। কিন্তু ব্যাতিক্রম ঘটে এইবারের সরকারি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অনুষ্ঠানের সম্মুখ সারিতে বসিয়ে রাখা ছাড়া আর কোন সম্মান দেয়া হয়নি।

অনুষ্ঠানে নিসচাকে খাটো করে কতিপয় শিক্ষার্থীদের সম্মুখসারিতে তুলে এনে সেখানে তারা নিয়ে আসে ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের কথা। আমরা নিসচা কর্মিরা মনে করছি এই শিক্ষার্থীদেরকে সরকারের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর ও পরিবহন সেক্টরকে যারা লুটেপুটে খেতে চায় তাদের একট পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। তাদের চাপের মুখে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সেখানে কোন বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এতকিছুর পরও ইলিয়াস কাঞ্চনসহ সড়ক যোদ্ধারা কষ্ট হলেও মেনে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান করছিলো।

কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে যখন নিরাপদ সড়ক চাই-এর অস্তিত্বের ওপর আঘাত আনে এই মর্মে যে, ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সূচনা হয় এই কথা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে বলা হয় এদেশের মানুষের স্বপ্ন দেখা এবং সড়ক নিরাপদ করার পরিকল্পনার কথাগুলো উঠে আসে ২০১৮ সালের পর থেকে তাহলে প্রশ্ন জাগে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রয়াস এবং কোটি কোটি জনতার আবেগের প্রেক্ষাপট কোথায় হারিয়ে গেল? নাকি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক চাই ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায় একটি স্বার্থন্বেসী মহল? আমরা মনে করি এই ইতিহাসকে তারা চাপা দিতে চেয়েছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াস কাঞ্চন তার সড়ক যোদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host