এন এস বি ডেস্ক: দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজরা বিএনপির লোক নয় দাবি করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রয়োজন হলে আবার রাজপথে নামতে হবে। আবার বুকের রক্ত দিয়ে দেশে জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করে চাঁদাবাজি করে তারা বিএনপির লোক নয়। দরকার হলে আবার রাজপথে নামতে হবে, আবার বুকের রক্ত দিয়ে দেশে জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।’ দেশে একটা ট্রানজেকশন হচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে অর্জিত বিজয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এই দেশে যেন গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে বিদায়ী সরকার। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারি, তবে আবার সব ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করব। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা ভালোভাবে তার পরিবারকে কাপড় কিনে দিতে পারেন না। আজকে যে দাবি উঠেছে তা অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত যে শিক্ষকদের জাতীয়করণ করতে হবে। মূলত আপনাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমরা অবহিত। সমাধান করতে চাই।’একটা চাকরির জন্য আওয়ামী লীগের এমপিদের হাতে জমি বেচে যে লাখ লাখ টাকা তুলে দিয়েছেন, তা কি ঠিক করেছেন? মানসিকতা পরিবর্তন না করলে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হবে না’, যোগ করেন ফখরুল। বলতে দ্বিধা নেই, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন জায়গায় চলে গেছে, যা দিয়ে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই জায়গাটা ঠিক করার সময় এখন। পরিবর্তন করতে না পারলে জাতি চরমভাবে হতাশ হবে। জাতীয়করণ করার পর সিলেকশনের প্রশ্ন আসবে। শিক্ষকদের গুণগতমান অর্জন করতে হবে। শিক্ষকদের দলকানা হলে চলবে না। বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘এই যে দেশটা, সাঈদ থেকে শুরু করে বাচ্চারা জীবন দিলো, আজকে সুযোগ এসেছে; সেই সুযোগটা কাজে লাগান। যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষের শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতায় গিয়ে লাভ হবে না। আপনাদের প্রতি মুহূর্তে ভাবতে হবে জাতিকে কী দিলাম।’ ‘হাজার হাজার মানুষ আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছে, তারা যেন ন্যায়বিচার পান। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। তার জন্য দোয়া করবেন। তাকে বিদেশে নেয়ার চেষ্টা চলছে’, যোগ করেন ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আমরাই দায়িত্ব দিয়েছি দেশকে সঠিক পথে নেয়ার জন্য। ইউনূস সরকারকে সেই পর্যন্ত সময় দেব, যে সময় পর্যন্ত একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা যায়। আমরা আবার মাইনাস ফর্মূলা দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা যে ভূতদের নিয়ে প্রশাসন দখল করেছিলেন, সে ভূতগুলো এখনো প্রশাসনেই আছে। জনগণ আপনাকে যোগ্য মনে করলে ভোট দেবে।’