শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
হরিণাকুণ্ডুতে হলুদের চাঁদর বেছানো ফসলের মাঠ সুন্দরবনে সক্রিয় বনদস্যুরা, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বনজীবীরা Install Pin Up app 💰 Free spins for beginners 💰 2000+ slots, roulette and other ধানমন্ডিতে হাসান আরিফের প্রথম জানাজা সম্পন্ন কয়রায় শিশুদের আনন্দদানে ও মেধা বিকাশে শিশু মেলা দেশি-বিদেশি জাহাজে চাকুরির প্রশিক্ষন পেলো বরিশাল ও মাদারীপুরের ৭০ জন তরুণ কালীগঞ্জে চিনিকলের ট্রলির ধাক্কায় ইজিবাইকের দুই যাত্রী নিহত শৈলকুপায় ৭০ বস্তা জব্দকৃত ডিএপি সার বিক্রির টাকা সরকারী কোষাগারে জমা মাদারীপুর জেলার কবিরাজপুর ছইফউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ এ বিজয় দিবস উদযাপন লালমনিরহাটের সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক ৩৩ লক্ষ টাকার মাদক দ্রব্য উদ্ধার
নোটিশ
যে সব জেলা, উপজেলায় প্রতিনিধি নেই সেখানে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। বায়োডাটা সহ নিউজ পাঠান। Email: newssonarbangla@gmail.com

ঝিনাইদহের চাষিরা শীতের সবজি গ্রীষ্মে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন

মোঃ শাহানুর আলম, স্টাফ রিপোর্টার
Update : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:১৬ অপরাহ্ন

মোঃ শাহানুর আলম, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের মাটিতে বছর জুড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছর শীতের সবজি ফুল ও বাঁধা কপি গ্রীষ্মে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন এ জেলার চাষিরা। বিক্রি করতেও কোন ঝামেলা নেই। ব্যপারীরা সরাসরি মাঠ থেকে চাষিদের নিকট হতে বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাঠাচ্ছে।

কৃষকরা বলেন, গ্রীষ্মকালীন ফুল ও বাঁধাকপি বছরের ১ লা আষাঢ় মাসে শুরু হয়। প্রতিবিঘা জমিতে সাড়ে ৩’ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। বীজতলায় চারাগাছ থেকে শুরু করে মাত্র ৩ মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ করে বিঘা প্রতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করা যায়।

কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, এবছর তীব্র গরম ও বেশি পরিমাণ বৃষ্টিতে প্রতিকুল আবহাওয়াতেও তিন মাস, অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে কপি বাজারজাত করতে পেরেছে চাষীরা। প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ৫ টন ও ফুলকপি ৩ টন উৎপাদন হয়ে থাকে। এতে কৃষকরা বেশ মোটা অঙ্কের টাকা লাভবান হয়ে থাকে।
সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের চাষি পারভেজ বলেন, চলতি বছর প্রতিবিঘা জমিতে বীজ, সার, কীটনাশকসহ খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দাম ভালো থাকায় বেশ ভালো লাভ হচ্ছে। গত বছরও বিঘা প্রতি কপি বিক্রি করে খরচ বাদে চাষীরা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছিল।

পাইকার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কপির বাজার চাহিদা ও সাইজের উপর দাম নির্ভর করে। চলতি বছর কপির সাইজ কিছুটা ছোট হয়েছে। তাই তিনি প্রতিপিচ ফুল ও বাঁধাকপি ১৮ থেকে ২২ টাকায় কৃষকের জমি থেকে কিনে সেগুলো রাজধানী ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, কৃষি বিভাগের হিসাব মতে জেলাতে ফুল ও বাঁধা কপিসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে। আর এ পরিমাণ আবাদ থেকে হেক্টর প্রতি ১৭ দশমিক ১২ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। ভৌগলিকভাবে জেলার মাটি উঁচু ভুমি হওয়ায় সময়ে অসময়ে সব ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়না। অনান্য জেলার চাইতে এ জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ভালোভাবে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হয়।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By Uttoron Host