পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু’র বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপ্রপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সময়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন স্থানে অসত্য কাল্পনিক ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিকর নানা তথ্য ছড়াচ্ছে।
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু’র পারিবারিক একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি কুচক্রীমহল জেলা বিএনপির ত্যাগী এ নেতার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে। ভান্ডারিয়া উপজেলার একটি জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি অনলাইন পত্রিকায় জনৈক সোহেল সিকদার এর বরাত দিয়ে ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রচার করা হয়।
এ বিষয়ে সোহেল সিকদার জানায়, গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু আমাদের আত্মীয়। জমি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন আমাদেরকে চাপ দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলাতে বাধ্য করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আমাদের দিয়ে গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুকে হেয় প্রতিপন্ন করানো। আমার ভুলের কারনে জেলা বিএনপির সন্মানিত এ নেতা আমার আত্মীয় গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু বেশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে। এজন্য আমি লজ্জিত।
স্থানীয় বিএনপি’র তাকর্মীরা জানান, গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু গত ০৫ আগষ্ট এর আগে ৮ থেকে ১০ টি মামলার আসামী হয়ে মাসের পর মাস জেল খেটেছে। দলের দুর্দিনে তিনি আমাদের রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সম্প্রতি সময়ে দলের মধ্যে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ পক্ষটি বিগত দিনেও আয়োমীলীগের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রেখেছে। এদিকে স্মপ্রতি সময়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ও সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভল ‘র বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার ও মিধ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি, ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপি, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, দলের দুঃসময়ে আমরা রাজপথে ছিলাম। যাদের আমরা পাইনি তারা এখন অতি বিপ্লবী। তারা আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপর ভর করেছে এবং ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এই অপপ্রচারকারীরা গত ১৭ বছর পূর্বে মামার নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসায় তারা পিরোজপুর থেকে পালিয়ে যান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে পুনরায় মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। তারাই এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিরোজপুর জেলা বিএনপি ও এর অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি ইউনিট বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন শক্তিশালী দুর্গে পরিণত হয়। যে কারণে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা বিএনপি ব্যাপক সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়।
গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়াকালীন অবস্থায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি এরপর পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে পড়াবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়াও পিরোজপুর সদর উপজেলায় দীর্ঘ ১৩ বছর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার কারারুদ্ধ হয়েছি। অসংখ্য মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যাপক নির্যাতিত ও নিপীড়িনের শিকার হয়েছি।
সাংগঠনিক শক্তি, দলীয় আনুগত্য এবং তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ফ্যাসিবাদের দোসররাই পিরোজপুর জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। ইতোমধ্যে অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।