ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে শনিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে অল্প কিছু ছাত্রর সাথে বিএনপি’র নেতারা রাজপথে নেমে আসে। এ সময় সরকার বিরোধী মিছিল আর ম্লোগান দিতে থাকে তারা। ক্ষনিকের জন্য থেমে যায় সবকিছু, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় মুজিব চত্বর থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীদের শ্লোগানের ঢেও আছড়ে পড়ে রাস্তার দুই পাশে দাড়ানো উৎসুক জনতার মাঝে। তারাও হাত নেড়ে বিক্ষোভকারীদের স্বাগত জানাতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসুচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী, অভিভাবক এমনকি শিশুরাও অংশ নেয়। দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর ঘুরে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা মিছিলটি আরাপপুরে শেষ করতে চাইলেও বিএনপি-ছাত্রদলের চাপে তারা পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ করেণ। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী হৃদয় হোসন, হুসাইন এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী রত্না খাতুন বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা, ছাত্র হত্যার বিচার ও সারাদেশে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তিসহ তাদের ৯ দফা দাবী পুরনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মিছিলের মাঝখানে বিএনপির জেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকার হটাও ১দফা দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এছাড়া দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তারা ছিল যথেষ্ট নমনীয়।