শামীম আক্তার চৌধুরী প্রিন্স, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: পত্নীতলায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে সাঁওতাল বিদ্রোহের মহানায়ক সিধু ও কানুর স্মরণে ১৬৯তম ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে নজিপুর পুরাতন বাজার পত্নীতলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভানেত্রী বিচিত্রা তির্কীর সভাপতিত্বে ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পত্নীতলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক দিলীপ চৌহান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধক্ষ্য মার্টিন মুরমু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নওগাঁ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিতাই চন্দ্র পাহান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক পরেশ টুডু, মান্দা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিপেন মুন্ডা, মহাদেবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল পাহান, জেলা আদিবাসী ছাত্র পরিষদ সভাপতি মিঠুন পাহান, দপ্তর সম্পাদক শাকিল পাহান, জাতীয় আদিবাসী ছাত্র পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা শাখা সভাপতি পলাশ পাহান, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত পাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মমতা রানী মহন্ত, দিলীপ কুমার দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন এ বছর সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৯ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামের নাম সাঁওতাল বিদ্রোহ। এ বিদ্রোহই ছিল ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম আন্দোলন। আজ থেকে ১৬৯ বছর আগে ১৮৫৫ সালের এই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চার ভাই সিদু-কানহু-চানদ ও ভাইরোর নেতৃত্বে সাঁওতালরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সাঁওতালরা অধিকার থেকে বঞ্চিত।