শিক্ষক,অধ্যাপকদের পেশাগত ফাইল অথৈ
ম্যানেজিং,জিবি মিটিং,রেজুলেশন সবই হলো,
টাইপ করে হেড করণিক সঙ্গে সব ডাটা
দিয়ে বিকাশভবনে ফাইল দিলো।
২০১৩ থেকেই জমা পড়া ফাইলগুলি
টেবিল থেকে টেবিলে হয় চালাচালি,
অমুকবাবু থেকে তমুকবাবু,তমুক থেকে
অমুকবাবু নোট দিচ্ছেন চোখে বালি।
আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সব ঠিকঠাক-
যার ফাইল তিনি কলুর বলদ,ঘুরেই মরেন …
বয়স বাড়ে,ফাইল শুধু ওপরে ওঠে আবার নামে,
কূল পান না,বছর সাতেক কাকে ছেড়ে কাকে ধরেন।
একবার ফাইল হারিয়ে গেল,আবার তাকে
পাওয়াও গেলো,বাবু যাচ্ছেন,বাবু আসছেন,
ফাইল মালিক ভেবেই আকুল।এ বাড়ি থেকে
ও বাড়িতে বছরগুলো কারা খাচ্ছেন ?
হঠাৎ নতুন নিয়ম হলো,মাঝে দু’বছর করোনা গেল
একুশ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি আবার কলেজে চিঠি এলো,
ইউজিসি সেকশন থেকে….. অফিসারের চিঠি ….
এবার আবার ৭পৃষ্ঠার এ্যানেক্সার ‘পি ‘এসে গেলো।
আগস্টে ‘পি’ ভরাট হলো,২৪ তারিখ আবার জমা
এভাবে দিন কেটে যায়,মাস চলে যায়, আসে হিম;
বছর যায়,ফাইল ঘোরে -এ্যাক্টিভিটি? রিসিভড এবং
সেন্ট টু অমুক,শেষে ইন্ট্রানসিট,কাজ হচ্ছে?ঘোড়ার ডিম!
এসে গেল তেইশ সাল,দৌড়ঝাঁপ আর তাগাদা দিয়ে
আবার ফাইল মহাকরণে,খবর নিলে বলা হয়,নবান্নেতে,
ফাইল গেছে;৬মাস পরে জানা গেল নবান্ন নয় মহাকরণ,
ফাইলকে তাকে তুলে ডিলিংবাবু অবসরে উঠলো মেতে।
১২বছর কেটে গেল,অবশেষে এক ভালোবাবুর হাতে
পড়ে ফাইল এলো সেই বিকাশে।ওমা ,আবার খোঁজ;
জানা গেল কয়্যারি নোট,লিয়েন দেওয়ার মালিক কে?
হাসি না কান্না? এসব ভেবে অধ্যাপকের মাথায় গোঁজ।
বিকাশ থেকে উত্তর হলে ফাইল আবার মহাকরণে
সেখান থেকে ফেরত এলে আবার যাবে পেনশনে
এভাবে কি ফাইল ঘুরবে?হচ্ছেটা কি?এই বিকাশে?
ফাইনাল মেমো হলেও শত অধ্যাপক মরে টেনশনে।
————–
(ড. মহীতোষ গায়েন,অধ্যাপক,সিটি কলেজ,কলকাতা -৯)