ঝিনাইদহ প্রতনিধি: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। প্রমাণ হিসেবে তিনি তার বাবার ব্যবহৃত জিনিস অথবা অন্তত পক্ষে এক টুকরো মাংস চান।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে কালীগঞ্জের নিজ বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ডরিন বলেন, ‘আমার বাবার পরনে শার্ট, প্যান্ট ও জুতা ছিল। চোখে সবসময় চশমা পরতেন, পকেটে টুপি এবং ছোট একটা চিরুনি থাকত। হাতে দুটি আংটি এবং একটি ব্রেসলেট থাকত। আমার কথা হচ্ছে, তার পরনে তো অনেক জিনিস ছিল। একটি জিনিস হলেও আমাকে নিয়ে এসে দেখাতে হবে যে, এটা আমার বাবার। কিছু না কিছু একটা তো পাওয়া যাবেই। না হলে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘আর যদি কিছুই না পাওয়া যায় তাহলে শরীরের একটি অংশ হলেও আমাকে দেখাতে হবে আর সেটি ডিএনএ টেস্ট করে দিতে হবে যে, এটা আমার বাবার শরীরের একটি অংশ। এটা আমি দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমে তাকে শ্বাসরোধ করা হয়, পরবর্তীতে জ্ঞান না আসায় তাকে মেরে ফেলা হয়। তারপর ছুরি বা চাকু দিয়ে প্রথমে তার চামড়া ছাড়ানো হয়, পরে টুকরো টুকরো করে তার মাংস কাটা হয়। এই যে ব্যবহৃত ছুরি বা চাকু কোনও একটি প্রমাণ হিসেবে আমাকে দেখাতে হবে। এটাও আমি দাবি জানাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কোনও কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তারা।’
এদিকে এমপি আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখতে কলকাতায় গেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এমপির মরদেহ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। মরদেহের কিছুটা হলেও উদ্ধার করা হবে বলে জানান হারুন। হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিআইডি অনেক কাজ করেছে, অনেকদূর এগিয়েছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত তথ্য পেয়ে যাবো।’
ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতে গ্রেপ্তার কসায় জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্তে পাওয়া তথ্য বিনিময় করবে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়া মূলহোতা আখতারুজ্জামান শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হতে পাওে বলেও জানিয়েছেন।