খুলনা প্রতিনিধি।। ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসারজমি জবরদখল করতে ব্যর্থ হয়ে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে শিক্ষক কর্মচারীদের উপর। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা খয়রুল আলম ও কর্মচারী রুহোল আমিন। আহত দু’জনকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়; ১৯৭৬ সাল থেকে মাদ্রাসার ভোগদখলকৃত জমি বেআইনীভাবে জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল আন্দুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪৩), মফিজুর রহমান (৪৫), ওমর আলী (৪০), বোরহান কবির (১৮) সহ কতিপয় দুর্বৃত্ত। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে কয়েকদফা শালিসেও তাদের দাবি নাকোচ হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেড়া দিয়ে মাদরাসা ঘিরে দেয়। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা খয়রুল আলম বলেন; বিষয়টি মীমাংসার এক পর্যায়ে আজ সকালে বেড়া অপসারণের চেষ্টাকালে শহিদুল, মফিজুর, ওমর, আকবার, কবিরসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা দা শাবল বাঁশের লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা আমার ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং কর্মচারী রুহোল আমিনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। হাসপাতালসূত্রে জানা যায় রুহোল আমিনের মাথায় দশটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জীর মেজ ভাই।
মাদ্রাসার সভাপতি শামছুল আলম হিরোক বলেন; সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবং অনেক ক্ষতিসাধন করেছে। মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি। এব্যাপারে আসামিরা বাড়িঘর তালা লাগিয়ে আত্মগোপনে থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন; ঘটনা জেনেছি। সন্ধ্যার বাদি পক্ষ অভিযোগ দায়ের করবেন বলে কথা হয়েছে