মোঃ গোলাপ মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুমড়ীর হাট সতী নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হলে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুর মুখের দুই পাশের জমি ২০০৯ ইং সালে সরকার কুমড়ীর হাট এস,সি উচ্চ বিদ্যালয় এবং স্কুল থেকে লিজ নেওয়া লিজ গৃহিতা মোঃ জিকরুর ইসলাম এর কাছ থেকে প্রায় ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে সেতুর দুই পাশের জমি সরকার অধিগ্রহণ করেন। সরকার অধিগ্রহণের জমির মধ্যে কিছু অংশ জমি ছেড়ে দিয়ে বাকি অধিকাংশ জমি জোরপূর্বক লিজ গৃহিতা মোঃ জিকরুল ইসলাম জোরপূর্বক দখল করে পাকা বাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করিতেছে । বিষয়টি আদিতমারী ভাদাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ এরশাদুল হাবিব এর কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরকারের অধিকগ্রহণের জমির উপর নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেয় । পরবর্তীতে সরকারি নিষেধ অমান্য করে রাত দিন দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জিকরুর ইসলাম । বিষয়টি আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) জি ,আর সারোয়ার আলমকে অবগত করা হলে তিনি বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিতমারী উপজেলা ভুমি সহকারী কমিশনার রওজাতুন সরজমিন উপস্থিত হলে ভূমি কমিশনার ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে দেখে দখলকারী জিকরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। বাজারে ব্যবসায়ী সামছুল ইসলাম বলেন সরকার জমি অধিগ্রহণ করে নিয়েছে এবং জিকরুল টাকা নিয়েছে কিভাবে উক্ত জায়গায় ঘর নির্মাণ করেন ,বাজারে সচেতন মহল বলেন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধ করেছি পাকা দোকান ঘর এবং পাকা বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না, আমাদের কথা শুনেনি । স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি সরকার যেহেতু জমি ক্রয় করেছেন উক্ত জমি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হোক । সরকারের অনুমতিবিহীন উক্ত জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করা কারো অধিকার নেই। স্থানীয় সচেতন মহল দাবি করেন জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধতম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।