শনিবার (১২ আগস্ট) বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকরকে বেছে নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের বিদায়ী বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ শনিবার (১২ আগস্ট) এক বৈঠকে কাকরের বিষয়ে ঐকমত্য হন। এরপরই বহুল কাঙ্ক্ষিত ঘোষণাটি আসে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও রাজা রিয়াজ কাকরকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে একটি পরামর্শমূলক চিঠি প্রেসিডেন্ট আলভি বরাবর পাঠিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিয়াজ।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের কারাদণ্ড প্রদান নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে চলতি সপ্তাহে (৯ আগস্ট) সদস্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপরই শাহবাজকে দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের তাগিদ দেন তিনি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন মতে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে শাহবাজ শরীফ ও প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা দেয়। শনিবারের (১২ আগস্ট) মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম সুপারিশ করতে শাহবাজ শরীফকে চিঠি পাঠান প্রেসিডেন্ট আলভি।
খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আলভির চিঠিতে ‘মনোক্ষুণ্ণ’ হন শাহবাজ শরিফ। তিনি প্রেসিডেন্টের তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট আলভি ঠিক মতো পাকিস্তানের সংবিধান পড়েননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংবিধান অনুযায়ী এখনও তার হাতে আট দিন সময় আছে বলেও জানান শাহবাজ।