এন.এস.বি ডেস্ক: স্লোভাকিয়ার জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির ‘স্লোভাক সোশ্যাল ডেমোক্রেসি’ পার্টি। তারা তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পশ্চিমাপন্থি দল ‘প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া’র থেকে ছয় শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন রবার্ট ফিকো, যিনি এর আগেও দুইবার স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে জানানো হয়, নির্বাচনে জয়ের আগেই ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানো বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফিকো। এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া পশ্চিমা মিত্রদের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে তিনি অকার্যকরি এবং নিজেদের অর্থনীতির জন্যই ‘ক্ষতিকর’ বলে দাবি করেন তিনি। ফিকো বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনে আর এক রাউন্ড গুলিও পাঠাব না। নির্বাচনে পরাজিত ‘প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া’ পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিগুলোর কট্টোর সমর্থক ছিল। এর ৩৯ বছর বয়স্ক নেতা মাইকেল সিমেকা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট। তার নির্বাচনী প্রচারণায় ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ছিল।দলটি নির্বাচনে মাত্র ১৭% ভোট পেয়েছে। আরেক ইউরোপপন্থি দল এইচএলএএস পেয়েছে ১৫% ভোট। জয়ী দল স্লোভাক সোশ্যাল ডেমোক্রেসি পেয়েছে ২৩ শতাংশ ভোট।তবে এখনও তাদের সরকার গঠনের পথে আরও একটি ধাপ বাকি আছে। যেহেতু কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই ফিকোকে এখন অন্য দলের সঙ্গে জোট বাধতে হবে। বেশ কয়েকটি দল এরইমধ্যে তাদের সঙ্গে জোট গঠনে আগ্রহ দেখিয়েছে। ফিকোর নেতৃত্বে স্লোভাকিয়ার সম্ভাব্য সরকার নিয়ে এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। এর আগে ইইউভুক্ত দেশ হাঙ্গেরিও ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রবল বিরোধিতা করেছে। এখন স্লোভাকিয়াও সেই দলে যুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে যাওয়া হুমকিতে পড়তে পারে। আরটির খবরে জানানো হয়, এর আগে স্লোভাকিয়ার পশ্চিমাপন্থি সরকার ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এরমধ্যে আছে হাওয়াইটজার, সমর যান এবং মিগ-২৯ বিমানের পুরো একটা ফ্লিট। ফিকো ঘোষণা করেছেন, নির্বাচনে জিতলে তার সরকার আর যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে চলবে না। এ জন্য ফিকো যাতে নির্বাচনে জিততে না পারেন তাই যা যা করা সম্ভব তাই চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি জানিয়েছে, স্লোভাকিয়ার পশ্চিমাপন্থি সরকারকে পুনরায় জিতাতে ব্ল্যাকমেইল থেকে ঘুষ পর্যন্ত সব চেষ্টাই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।