এন এস বি ডেস্ক: সারা দেশে কোটাবিরোধি নামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অন্যান্য মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ১৮ জুলাই রাত ৮টায় পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের তথ্যানুযায়ী এ কবর জানা গেছে। রাজধানীতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৮ জন এবং সাভার, মাদারীপুর, চট্টগ্রামে একজন করে ও নরসিংদীতে একজন মারা গেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ মারা গেছে। দুপুরে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এদিকে ফারহানের মা নাজিয়া খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছেলের মৃত্যুর বিচার দাবি করেছেন। এদিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ইমপেরিয়াল কলেজের ছাত্র বলে জানা গেছে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। বিকেলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রাবাড়ীতে অজ্ঞাত একজন নিহত হয়েছেন।
উত্তরা-আজমপুর এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদরে সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সময় গুলিতে শিক্ষার্থী-পথচারীসহ চারজন নিহত হন। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চারজনকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি সময় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র নার্সিং অফিসার আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দুই শতাধিক আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। অনেকে গুলিবিদ্ধ। এদের মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। একজনের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন।’ এছাড়া বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শনির আখড়ায় সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সাভার, মাদারীপুর, নরসিংদী ও চট্টগ্রামে পাঁচজনের মৃত্যু
সাভারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী। নিহত ওই শিক্ষার্থী ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তার নাম ইয়ামিন। তিনি আরও জানান, নিহত শিক্ষার্থীর শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত আরও পাঁচজনকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এদিকে নরসিংদীতে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। তাদের একজন তাহমিদ তামিম (১৫) এবং অপরজন ইমন (২২)। তাহমিদ তামিমের বাড়ি সদর উপজেলার চিনিশপুরে। সে নরসিংদী এন কে এম হোমস অ্যান্ড স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাদারীপুরে শহরে পুলিশের ধাওয়ায় লেকের ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ দুজনের মধ্যে দিপ্ত দে (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।দুপুর ১টার দিকে শহরের শকুনি লেক থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে। নিখোঁজ আরেকজনকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের অভিযান চলছে।এরআগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলার সময় পুলিশের ধাওয়ায় লেকের পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন।মৃত দিপ্ত শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার স্বপন দের ছেলে। তিনি মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।