বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে কয়েক লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ হয়েছে। যেখানে অনেকের পুরো নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও রয়েছে।
শুক্রবার (৮ জুলাই) প্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন ওয়েবসাইট পত্রিকা টেকক্রাঞ্চ এমন খবর দিয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
ভিক্টর মার্কোপোলাস নামের একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জানান, গেল ২৭ জুন আকস্মিকভাবে তিনি এই ফাঁস হওয়ার ঘটনা জানতে পারেন। পরে সার্টের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। বিটক্র্যাক সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানিতে গবেষক হিসেবে কাজ করেন মার্কোপোলাস। তিনি আরও বলেন, ‘লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের উপাত্ত ফাঁস হয়েছে।’
আক্রান্ত ওয়েবসাইটের ‘পাবলিক সার্চ টুল’ ব্যবহার করে এই ফাঁসের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে টেকক্রাঞ্চ। এতে ফাঁস হওয়া তথ্যভাণ্ডারের মধ্যে থাকা অন্য তথ্যগুলোও ওই ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। যেমন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ব্যক্তির নাম, কারও কারও বাবা-মায়ের নাম পাওয়া গেছে। ১০টি ভিন্ন ধরনের ডেটা ব্যবহার করে এ পরীক্ষা চালায় টেকক্রাঞ্চ।
তথ্যগুলো এখনও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করেনি টেকক্রাঞ্চ। এই উপাত্ত ফাঁস হওয়ার ঘটনায় সতর্ক করতে ও মন্তব্য জানতে বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি টেকক্রাঞ্চ। এদিকে মার্কোপোলাস বলেন, ‘আমি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি নিয়ে অনুসন্ধান করিনি। এসকিউএল নিয়ে আমি গুগলে সার্চ করছিলাম, তখন এটি চোখের সামনে চলে আসে।’
অর্থাৎ গুগলে তিনি আরেকটি বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা জানতে পারেন।