ফুলহরী গ্রামের ছানোয়ার হোসেন বলেন, তারা বেশ কিছুদিন সার ডিলারদের নিকট থেকে চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তবে টাকা বেশী দিলে মিলছে সার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কাজীপাড়া ফুলহরী বাজারের সারের সাব ডিলার রওশনের দোকান থেকে ইঞ্জিন চালিত বড় সাইজের করিমনে ৭০ বস্তা ডিএপি সার অন্যত্র পাচারের জন্য প্রস্ততি নেয়। তারা ডিএপি সার ভর্তি গাড়ীটি রওনা দিলে এলাকাবসীরা তা আটকিয়ে দেয়। এ সময় সাব ডিলার রওশনের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা সার ভর্তি গাড়ীটি ঘিরে রেখে পুলিশের খবর দিলে ভাটই বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তা জব্দ করে নিয়ে যায়।
ভাটই পুলিশ ফাড়ির উপ পরিদর্শক মনির হাজরা বলেন, ঘটনা সত্য। অবৈধ ভাবে মজুদকৃত সার অন্যত্র পাচারকালে এলাকাবাসীরা তা জব্দ করে পুলিশের কাছে সপর্দ করেছে।
বিসিআইসির অভিযুক্ত সার ডিলার ১৫ নং ফুলহরী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিআইসি ডিলার মামুনুর রশীদ বলেন, সাব ডিলার রওশনের ঘর থেকে অন্যত্র সার পরিবহনে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবসীরা তা জব্দ করে ভাটই পুলিশ ফারিতে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। চলতি মাসে তার নামে বরাদ্দ হয় ৫৬ বস্তা ডিএপি সার। ২৮৫ বস্তা অতিরিক্ত সার সে কোথা থেকে মজুদ করেছে তা তিনি বলতে পারেন না বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ফুলহরী কাজীপাড়া বাজার থেকে ৭০ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সারের সাব ডিলার রওশন আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ২১৫ বস্তা ডিএপি সার পাওয়া যায়। এ সার সরকারী মূল্যে চাষিদের মধ্যে বিক্রি করা হবে বলে জানান। জব্দকৃত সারের যে মূল্য তা সরকারী কোষাগারে জমা হবে বলে তিনি আরো জানান।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন, ফুলহরী কাজাীপাড়া বাজার এলাকা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় তা জব্দ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া বাজারের সারের সাব ডিলার রওশন আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং জব্দকৃত সার বিক্রি করে সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ২১৫ বস্তা ডিএপি সার পাওয়ায় তা চাষিদের সরকারী মূল্যে লাইন দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। অভিযুক্ত সাব ডিলার রওশন বলেন জব্দকৃত সার তার না।