রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে ১৪নং ফুলহরী ইউনিয়নের বিশ্বাস পাড়া হরিতলা পূজা মন্ডপে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িত ফুলহরী গ্রামের মনজের হোসেন(৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। মনজের হোসেন ফুলহরী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্য রুহুল ইসলামের আপন চাচা।
প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক(পিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লক্ষী, গণেষ সহ ৮টি প্রতীমার মাথা ও হাত ভেঙে পাশের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ তা উদ্ধার করে। ফুলহরী হরিতলা মন্দীর কমিটির সাধারন সম্পাদক তাপস বিশ্বাস বলেন, তাদের দূর্গা মন্দীরে রাত ৪টা পর্যন্ত সেচ্ছাসেবক দল পাহাড়া দেয়। ফজরের আজানের একটু আগে তারা বাড়ি ফেরে। এ সুযোগে মঙ্গলবার ভোরে প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মন্দীরটি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। সকালে তারা যখন ঘটনাটি জানতে পারেন তখন সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় তাদের গ্রামের মনজের হোসেন নামের এক ব্যক্তি একে একে ৮টি মূর্তীর মাথা ও হাত ভেঙে এক যায়গায় রাখছেন। এ ঘটনা সাথে সাথে পুলিশকে জানালে তারা মনজের হোসেনকে আটক করেন। তার সাথে আরো কোন ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।
প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, তারা ঘটনাটি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত শুরু করেছেন। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মনজের হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার দায়ভার স্বীকার করেছে ও এর সাথে আরো এক ব্যক্তি জড়িত আছে বলে জানিয়েছেন।
শৈলকুপায় দূর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মন্দীর পরিদর্শন করে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল হক (পিপিএম) বলেন, রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসাবে, এদেশের সাধারন নাগরিক হিসাবে, অসাম্প্রদায়ীক একজন ব্যক্তি হিসাবে এ কাজটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বলে আমি মনে করি। খুলনা রেঞ্জ না দেশের প্রতিটা মন্দীরকে তারা সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভির আলোকে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সমস্ত তথ্য তারা যাচাই বাছাই করে এর সাথে কারা ইন্ধনদাতা তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।