রয়েল আহমেদ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ভাগ্নের হাতে আকমল খান (৬৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আকমল খান পাশ্ববর্তী পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল গ্রামের মৃত ইয়াহিয়া খানের ছেলে। অভিযুক্ত ইউনূস মন্ডল শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের শাহবাড়িয়া গ্রামের ইমদাদুল মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জমিজমা নিয়ে শৈলকুপার শাহবাড়িয়া গ্রামের বোনের ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল পাংশা উপজেলার আকমল খান, তার ভাই লুৎফর খান ও আনছার খানের। শুক্রবার বিকালে আকমল খান নিজ বাড়ি থেকে খুলুমবাড়িয়া বাজারে যাওয়ার পথে গড়াই নদীর ঘাট পাড় হয়। এসময় নৌকা থেকে নেমে ঘাটে পৌঁছালেই বোনের ছেলে ইউনূস মন্ডল তাকে ধরে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ৫০০ গজ দূরে টেনেহিঁচড়ে খুলুমবাড়িয়া কাঁচাবাজারে নিয়ে গেলে ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ঘাতক ইউনূস মন্ডল পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০ বছর আগে আমার ফুফু মাজু খাতুন দাদার অংশে পাওয়া জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে ফুফাতো ভাই ইউনূসসহ পরিবারের লোকজন জমি তাদের নামে লিখে দিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত কয়েকদিন আগেও ইউনূস আমাদের গ্রামে গিয়ে আমার বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক ইউনূস মন্ডলকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।