রয়েল আহমেদ শৈলকুপা ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে শৈলকুপার পৌর বাজারে এ অবস্থা দেখা গেছে।
ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, চাহিদার তুলনায় মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার করতে আসা আবুল কাশেম বলেন , বাজারে কয়েক দিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি। আজ হঠাৎ করে জানতে পারি এক হাজার টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। এখন বাজারে এসে দেখি ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যে বিক্রয় করছে দোকানিরা।
আরেক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, কাঁচা মরিচের এত দাম জীবনে দেখিনি। আঁট শত টাকার এক পয়সা কমেও কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। এক কেজি কাঁচা মরিচে এখন এক কেজি খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে।
মরিচক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, শনিবার সকালে কাঁচা মরিচ কিনতে এসে তো আকাশ থেকে পড়া অবস্থা। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাইছে এক হাজার টাকা। বাধ্য হয়ে শুকনো মরিচ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।
মরিচ চাষী মিজান সিকদার জানান, ঈদের আগে ৩০০-৩৫০ টাকা করে পাইকারি বিক্রয় করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে ৮০০ টাকা করে কাঁচা মরিচ বিক্রয় করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এবছর প্রচণ্ড তাপদাহে মরিচের গাছ বাড়েনি। গাছের মাথা মুচড়ায়ে গেছে। আবার এর মধ্যে বৃষ্টিতে কিছু গাছ মারাও যাচ্ছে। এ কারণে কাঁচা মরিচ ধরছে কম। যার কারণে বাজারে চাহিদা বেশি তাই দামও বেশি।
মরিচ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মণ কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন। শনিবার ১০ কেজিও মরিচ কিনতে পারেননি। অল্প কিছু ৫৫০ ও ৬০০ টাকা করে কিনেছেন। সেগুলো দাম হাকিয়ে বেশি দামে (এক হাজার) টাকা বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। পরে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, যাদের কাছে বেশি মরিচ আছে তারা সবাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রয় করছে। প্রশাসন একটু তৎপর হলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কোনো কিছুই বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আনিসুজ্জামান খাঁন বলেন, বাজারে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে যার প্রধান কারণ, বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মরিচ উঠাতে পারেনি। আবার ঈদে মরিচের চাহিদা বেড়েছে যার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দুই-তিনদিনের মধ্যে মরিচের দাম কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, শৈলকুপা উপজেলাতে এ বছর ১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। উপজেলার চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। আবার কৃষকের ক্ষেতে পুরোপুরিভাবে মরিচের ধরন আসেনি।