মোঃ গোলাপ মিয়া ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ভারতীয় বিএসএফ এর গুলিতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি এলাকার নুরী ইসলাম এবং ঠাকুর নামে দুই গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে ও আহত হয়েছে দুইজন । এখন বাকী আছে আদিতমারী উপজেলা এই উপজেলায় যে কোন মুহুর্তে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন বিএসএফের গুলিতে গরু পাচারকারীদের মৃত্যু হয়েছে এই ধরনের সংবাদ পাওয়া যাবে। এ ধরনের মন্তব্য করেছেন আদিতমারী উপজেলার সীমান্তের সাধারণ জনগণ। গত ১৫ দিন ধরে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় গরু পাচার হয়েছে আদিতমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে।
এই সকল গরু ব্যবসায়ী ও গরু পাচার কারী গং মোটা অংকের অর্থ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ২/১ জন প্রশাসনের লোক ম্যানেজ করে চোরাকারবারী রাতে গরু পাচার করে আসছে, দ্রুত লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নিলে পুনরায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সীমান্ত বাসী ।গরু পাচারকারীদের কাছ থেকে ২/১ জন প্রশাসন এর নাম ব্যবহার করে মোটা অংকের অর্থ নিচ্ছেন ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়া সহ আরো কয়েক জন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা গরু বৈধ করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেট নিয়ে গরু বৈধ করেন । বাংলাদেশের গরু ব্যবসায়ীগণ অধিকাংশের মাদক ব্যবসায়ী সঙ্গে জড়িত এ সকল গরু পারাপার করে নিয়ে আসলে এবং বাজার পর্যন্ত চার থেকে পাঁচটি স্তরে তাদের মোটা অংকে টাকা দিতে হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী ও পাচার কারী দল হাট বাজারে গরু বিক্রি করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা বস্তা ভর্তি করে রাতে আঁধারে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করছেন । প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল ।