গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসায় মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে নুরুল হক নুরসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ‘বিরোধী দলের উপর হামলা-মামলা-নির্যাতন, হাফেজ রেজাউল হত্যা ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লার মুক্তির দাবিতে’ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে এলে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেয়। এ সময় তারা নুরকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া-ভুয়া-ভুয়া বলে স্লোগান দেয়। স্লোগানের একপর্যায়ে তারা নুরকে লাথি-কিল ও ঘুষি মারতে শুরু করে। লাথি-কিল ও ঘুষি থেকে নিজেকে রক্ষা করে বাংলা একাডেমির দিকে কর্মীদের নিয়ে চলে যান নুর। পরে একটি রিকশায় কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নুরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বের হওয়ার আগে থেকেই রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ অবস্থান নেন।আর একটি গ্রুপ মোটরসাইকেলে মহড়া দেয় টিএসসিতে। তবে নুরসহ ছাত্র অধিকারের নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে এটা মিথ্যা কথা। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়। তখন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করে।