সুজন হোসেন রিফাত ,মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের রাজৈরে তৃতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বখাটের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজে বের হন ডিমবিক্রেতা বাবা মিলন শেখ। তৃতীয় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী তিশা আক্তারকে (১১) ঘরে রেখে প্রতিবেশির বাড়িতে যান মা শাহিনুর বেগম। পরে রাত ৮টার দিকে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে মাটিতে তিশাকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার-চেচামেচি শুরু করেন। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়ির কাছে ৫ মাস আগে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট-নয়াকান্দি এলাকার ঘর ভাড়া নেয় মিরাজ নামে এক বখাটে। এরপর প্রায়ই মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো মিরাজ। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে সে। এরপর মাদ্রাসাছাত্রীর মুখে গামছা দিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানির ভয়ে শ^াসরোধে তিশাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় মিরাজ। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
শিক্ষার্থীর মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘বেশকয়েকবার ওই বখাটেকে নিষেধ করছি। কিন্তু আমার কথা শোনেনি সে। পরে তার বন্ধুদের নিয়ে ঘরের ভেতর আড্ডাখানা বানিয়েছে সে। সেখানে মাদক সেবন করতো তারা। ফাঁকাবাড়িতে একা পেয়ে আমার মেয়েকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করবে বুঝতে পারিনি।’
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ খান বলেন, ‘এই হত্যার সাথে কে বা কারা জড়িত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।